‘অগ্নিবীর’-দের নিয়োগ করতে মুখিয়ে আছে মাহিন্দ্রা গ্রুপ। এমনই দাবি করলেন মাহিন্দ্রা গ্রুপের চেয়ারম্যান আনন্দ মাহিন্দ্রা। ৬৭ বছরের শিল্পপতি জানান, ‘অগ্নিপথ' প্রকল্প নিয়ে যে হিংসা চলছে, তাতে ব্যথিত তিনি।
সোমবার সকালে টুইটারে মাহিন্দ্রা গ্রুপের চেয়ারম্যান বলেন, ‘অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে হিংসার ঘটনায় মর্মাহত। গত বছর যখন সেই প্রকল্পটির বিষয়ে তুলে ধরা হয়েছিল, তখন আমি বলেছিলাম যে শৃঙ্খলা এবং দক্ষতার কারণে অগ্নিবীররা কাজের জগতে অত্যন্ত যোগ্য হয়ে উঠবেন। এরকম প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত, দক্ষ যুবক-যুবতিকে নিয়োগের যে সুযোগ আছে, তাকে স্বাগত জানাচ্ছে মাহিন্দ্রা গ্রুপ।’
'অগ্নিপথ' প্রকল্প ঘোষণার পর দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ চলেছে। যে প্রকল্পের আওতায় দেশের তিন সামরিক বাহিনীতে চার বছরের জন্য ‘অগ্নিবীরদের’ নিয়োগ করা হবে। চার বছরের মেয়াদ শেষে প্রতিটি ব্যাচের ২৫ শতাংশ অগ্নিবীরকে স্থায়ীভাবে সামরিক বাহিনীতে নিয়োগ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
সেই অস্থায়ী নিয়োগের প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে জ্বলেছে আগুন। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ট্রেন, গাড়ি। চলেছে তাণ্ডব। সেই ঘটনা নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছে কেন্দ্র। রবিবার সামরিক বাহিনী সংক্রান্ত দফতরের অতিরিক্ত সচিব লেফটেন্যান্ট জেনারেল পুরী বলেন, ‘যদি তাঁদের (প্রার্থী) বিরুদ্ধে কোনও এফআইআর দায়ের করা হয়, তাহলে সামরিক বাহিনীতে যোগ দিতে পারবেন না। আবেদনপত্রে লিখতে হবে যে তাঁরা হিংসায় যুক্ত ছিলেন না। (তারপর) পুলিশি যাচাইপর্ব চলবে।’
রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্প নিয়ে বড় ঘোষণা:
১) সামরিক বাহিনী সংক্রান্ত দফতরের অতিরিক্ত সচিব লেফটেন্যান্ট জেনারেল পুরী: লেফটেন্যান্ট জেনারেল আগামী চার-পাঁচ বছরে ৫০,০০০-৬০,০০০ জওয়ান নিয়োগ করা হবে। যা ধাপে ধাপে বাড়িয়ে ৯০,০০০ থেকে এক লাখ করা হবে। পরবর্তীতে তা বেড়ে দাঁড়াবে ১.২৫ লাখ। প্রকল্পটি পর্যবেক্ষণের জন্য প্রথমে ৪৬,০০০ জনকে নিয়োগ করব আমরা।
২) প্রতিরক্ষা মন্ত্রক: সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে অগ্নিবীরদের অগ্রাধিকার প্রদানের যে ঘোষণা করছে বিভিন্ন মন্ত্রক এবং কেন্দ্রের দফতর, তা পূর্ব-পরিকল্পিত ছিল। অগ্নিপথ প্রকল্প ঘোষণার পর দেশের একাংশে যে হিংসা ছড়িয়েছে, সেই কারণে তড়িঘড়ি ঘোষণা করা হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: Agnipath Recruitment: সেনা রোজগারের জায়গা নয়, অগ্নিপথ পছন্দ না হলে আসবেন না: কেন্দ্রীয় মন্ত্রী
৩) প্রতিরক্ষা মন্ত্রক: পুলিশ বাহিনীতে অগ্নিবীরদের নিয়োগে অগ্রাধিকার দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিটি রাজ্যকে অনুরোধ করা হবে। কারণ যিনি যে রাজ্যের বাসিন্দা, তিনি তো চার বছর পর সেই রাজ্যেই ফিরে যাবেন