আপাতত অগ্নিপথ প্রকল্পের ওপর কোনও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল না দিল্লি হাইকোর্ট। তবে সেনাবাহিনীতে স্বল্পমেয়াদি ভিত্তিতে নিয়োগের বিরুদ্ধে যে একগুচ্ছ মামলা দায়ের হয়েছে, সেই পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রকে নোটিশ পাঠিয়েছে হাইকোর্ট। চার সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা জমা দিতে হবে কেন্দ্রকে।
এদিন দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মা ও সুহ্ম্যমণ্যম প্রসাদের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। সেখানে সরকারের পক্ষে অতিরিক্ত সলিসিটার জেনারেল জানান যে একসঙ্গে সব পিটিশনের উত্তর দেওয়া হবে কেন্দ্রের তরফ থেকে। তবে আদালত বলে যে একসঙ্গে নয়, আলাদা আলাদা করেও দাখিল হওয়া কেসগুলিতে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে কেন্দ্রকে। এদিন অন্যত্র ব্যস্ত থাকায় সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা আদালতে হাজির ছিলেন না। ফের ১৯ অক্টোবর এই মামলার শুনানি হবে।
চলতি বছরের ১৪ জুন অগ্নিপথ স্কিম চালু করে কেন্দ্র। এখানে সাড়ে ১৭ বছর থেকে ২১ বছরের তরুণ-তরুণীদের ভারতীয় সেনার বিভিন্ন বিভাগে চারবছরের জন্য নেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়। চার বছরের শেষে মাত্র ২৫ শতাংশকে পাকা চাকরি দেওয়া হবে। এই ঘোষণার পরেই প্রতিবাদে ফেটে পড়েন তরুণদের একাংশ। সেনায় পাকা চাকরি থেকে মানুষকে বঞ্চিত করা হচ্ছে, অগ্নিবীরের কাজ শেষ হওয়ার পর কী করবে তারা, এই সব প্রশ্ন নিয়ে উত্তাল হয়ে দেশ। তারপর অগ্নিবীর হওয়ার উর্ধ্বসীমা বাড়িয়ে ২৩ করে দেয় কেন্দ্র। অগ্নিবীরদের সেনায় কাজ শেষ হওয়ার পর কীভাবে বিভিন্ন সরকারি চাকরিতে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে সেটাও জানায় কেন্দ্র ও বিভিন্ন রাজ্য সরকারগুলিতে। তাতে প্রতিবাদের আঁচ কিছুটা কমেছে। তবে আদালতে মামলাগুলি ঝুলছেই। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মোতাবেক আপাতত দিল্লি হাইকোর্টে এই সব মামলাগুলির শুনানি হবে। কেন্দ্র নিজেদের হলফনামায় কী বলে এখন সেদিকেই সবার নজর।