অগ্নিবীর সম্পূর্ণ আলাদা ধরনের ক্যাডার।তারা চার বছরের জন্য় ভারতীয় সেনার সঙ্গে কাজ করবেন। তার মানে তাঁদেরকে কোনওভাবেই ভারতীয় সেনা, নেভি বা এয়ার ফোর্সের রেগুলার সার্ভিস বলে গণ্য করা হবে না। কেন্দ্রীয় সরকার দিল্লি হাইকোর্টে এনিয়ে জানিয়েছে। পাশাপাশি জানানো হয়েছে, চারবছর পরে অগ্নিবীররা সশস্ত্র বাহিনীতে যোগ দিলে তখন তাঁদেরকে নতুন নিয়োগ বলে গণ্য করা হবে। সরকার জানিয়েছে, অগ্নিবীর হিসাবে তারা প্রাথমিক কিছু প্রশিক্ষণের সুযোগ পাবেন। তবে পরে যদি তাঁরা সিপাহী হিসাবে যোগ দেন তবে তাঁরা আরও উচ্চতর প্রশিক্ষণ পাবেন।
সরকার জানিয়েছে, ১০-১৫ বছর বাদে এমন কোনও সিপাহী থাকবেন না যিনি অগ্নিবীর ছিলেন না। আদালতের ডিভিশন বেঞ্চে এই সাবমিশন দিয়েছেন অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল ঐশ্বর্য্য ভাটি।
আদালতের প্রশ্ন, সিপাহী আর অগ্নিবীরদের যদি একই কাজ করতে হয় তবে অগ্নিবীররা কম টাকা পান কেন? অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল ঐশ্বর্য্য ভাটি জানিয়েছেন,তাদের দায়িত্ব এক নয়। অগ্নিবীরদের সিপাহীদের স্য়ালুট করতে হবে। এনিয়ে হলফনামা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে অগ্নিবীরদের মধ্যে যে ৭৫ শতাংশকে স্থায়ীভাবে নেওয়া হবে না তাদের সম্পর্কে সরকার কী ভাবছে সেটা জানাতে বলেছে আদালত।
বিচারক জানিয়েছেন, তাঁরা হলেন সেই সব মানুষ যাঁরা অস্ত্র প্রশিক্ষণ নেওয়ার চারবছর পরে বেকার হয়ে যাবেন। এটা মাথায় রাখতে হবে।
সরকার জানিয়েছে, প্রাক্তন অগ্নিবীরদের কাজের ক্ষেত্রে সংরক্ষণের ব্যাপারে সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে। তাদের কারিগরী শিক্ষা দেওয়ার উদ্যোগও নেওয়া হবে।
অ্যাডভোকেট প্রশান্ত ভূষণ জানিয়েছেন, একবছর ধরে বলে যাচ্ছিলাম, সরকার বলছিল কোভিড আর প্রশাসনিক জটিলতার জন্য নিয়োগপত্র দেওয়া যাচ্ছে না। আর আচমকাই প্রেস কনফারেন্স করে প্রকল্প ঘোষণা করা হল।