অগ্নিবীরদের প্রথম ব্য়াচের কাছে বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী। এবার ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্য়মে বক্তব্য রাখলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রথম ব্যাচ হিসাবে যাঁরা অগ্নিবীর হলেন তাঁদের কাছেই বার্তা দিলেন মোদী। এদিন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও উপস্থিত ছিলেন। অগ্নিপথ স্কিমকে ঘিরে যাবতীয় বিতর্কের মুখেও এদিন কার্যত বড় জবাব দিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী।এমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের।
এই নীতিকে গেম চেঞ্জার হিসাবে উল্লেখ করেন মোদী। পাশাপাশি অগ্নিবীরদের দেশের পরবর্তী নেতা হিসাবেও তিনি উল্লেখ করেন। এদিন তিনি অগ্নিবীরদের অভিনন্দন জানান।
মোদী তাঁদেরকে উৎসাহ দেন নানাভাবে। তিনি জানিয়েছেন, অগ্নিবীরদের হাত ধরেই সশস্ত্র বাহিনীতে নয়া প্রযুক্তি আসবে। তাতে যৌবনের ছোঁয়া লাগবে। সশস্ত্র বাহিনীর বীরত্বের প্রতিফলন হল তাঁদের উৎসাহ। এই বীরত্বই দেশের পতাকাকে উঁচু করে রেখেছে। এর সঙ্গেই তিনি উৎসাহ দিয়ে বলেন, অগ্নিপথ প্রকল্পের আওতায় তাঁরা যে সুযোগ পাচ্ছেন তা সারা জীবনের জন্য তাঁদের কাছে গর্বের সম্পদ হয়ে থাকবে। বক্তব্য় রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী নারী অগ্নিযোদ্ধাদেরও উৎসাহ দিয়েছেন। তিনি বলেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের মহিলাদের ক্ষমতায়ন হবে। যেভাবে মহিলা অগ্নিবীররা দেশের নৌসেনায় যুক্ত হয়েছেন তা গোটা দেশের কাছে গর্বের। প্রতিরক্ষাক্ষেত্রে মহিলাদের বীরত্বের উচ্চ প্রশংসা করেন তিনি। একাধিক নজির তিনি সামনে আনেন। সিয়াচেনে দুর্গম বরফ প্রান্তরে মহিলারা যেভাবে দেশ রক্ষার কাজে নিয়োজিত হয়েছেন তার প্রশংসা করেন তিনি।এর সঙ্গেই প্রতিরক্ষার সর্বক্ষেত্রে মহিলারা যেভাবে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে যাবতীয় বিষয়কে নিয়ন্ত্রণ করছেন তারও প্রশংসা করেন মোদী। এমনকী যুদ্ধ বিমান চালানোর ক্ষেত্রে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন মহিলারা।
অগ্নিবীর প্রকল্পকে ঘিরে বার বার নানা আপত্তি তুলেছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। এনিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও বিঁধেছিলেন তিনি। ভারত জোড়়ো যাত্রায় বেরিয়ে একাধিকবার তিনি এনিয়ে অভিযোগ তুলেছিলেন। চার বছরের জন্য কোনও যুবকের অগ্নিবীর হওয়া ও তারপরে তাঁদের অনেকের বেকার হয়ে যাওয়ার ঘটনাকে ঘিরে প্রশ্ন তুলেছিলেন রাহুন গান্ধী। তবে এদিন অগ্নিবীরদের প্রথম ব্যাচের কাছে বার্তা দেওয়ার সময় কার্যত যোগ্য জবাব দিলেন মোদী।
এদিকে কেন্দ্রের মোদী সরকারের কাছে অগ্নিবীর প্রকল্প নিঃসন্দেহে কিছুটা ব্যতীক্রমী প্রকল্প। পাশাপাশি সরকারের কাছে এটা অত্যন্ত সাহসী প্রকল্পও বলেও মনে করেন অনেকে। এনিয়ে গোটা দেশ জুড়ে বিগতদিনে প্রতিবাদ আন্দোলন হয়েছে। তবুও দমেনি মোদী সরকার।