প্রসবের বিল বাবদ ৩০,০০০ টাকা দিতে না পারায় সদ্যজাতকে ছিনিয়ে নিলেন আগ্রার এক বেসরকারি হাসপাতালের মালিক তথা চিকিৎসক। অভিযোগ পেয়ে হাসপাতাল সিল করল স্বাস্থ্য বিভাগ। খোঁজ নেই নবজাতকের।
উত্তর প্রদেশের আগ্রা শহরের শম্ভুনগর অঞ্চলের বাসিন্দা শিব নারায়ণ পেশায় রিকশাচালক। চার মাস আগে দেনার দায়ে তাঁকে বাড়ি বিক্রিকরতে হয়েছে। গত ২৪ অগস্ট তাঁর স্ত্রী ববিতার প্রসব যন্ত্রণা শুরু হলে তাঁকে স্থানীয় জে পি হাসপাতালে ভরতি করেন শিব নারায়ণ।
২৫ তারিখ স্ত্রীকে হাসপাতাল থেকে ছাড়ার কথা ছিল, তাই সকালেই সেখানে পৌঁছে যান শিব নারায়ণ। কিন্তু হাসপাতাল ৩০,০০০ টাকার বিল ধরিয়ে দিলে তিনি চোখে অন্ধকার দেখেন। হাসপাতালের মালিক ডাক্তারবাবুকে অনেক অনুনয়-সহ তিনি জানান, তাঁর কাছে মাত্র ৫০০ টাকা রয়েছে।
শিব নারায়ণের কথায় অবশ্য বিন্দুমাত্র সহানুভূতি প্রকাশ করেননি ওই চিকিৎসক। অনেক তর্কাতর্কির পরে তিনি জানান, বিল না দিতে পারার জন্য নবজাতক শিশুকে ছাড়া হবে না।
চিকিৎসকের কথা শুনে কান্নাকাটি শুরু করেন ববিতা। শিব নারায়ণও বার বার কাকুতি-মিনতি করতে থাকেন। অভিযোগ, তাঁদের কথায় কানই দেননি চিকিৎসক। উলটে শিশু ছাড়াই ওই দম্পতিকে হাসপাতাল থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।
অসহায় দম্পতি এর পর সমাজসেবী নরেশ পারশের কাছে গিয়ে সবিস্তারে ঘটনা সম্পর্কে জানান। ববিতার দাবি, ওই চিকিৎসক তাঁর সদ্যোজাত সন্তানকে তাঁর আত্মীয়ের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন।
বিষয়টি স্বাস্থ বিভাগের গোচরে আনার পরে গত সোমবার ওই হাসপাতালে গিয়ে অনুসন্ধান শুরু করেন দফতরের আধিকারিকরা। তদন্তের স্বার্থে সিল করে দেওয়া হয়েছে হাসপাতালটি।
এ দিকে চিকিৎসকের ছিনিয়ে নেওয়া সদ্যোজাতের এখনও পর্যন্ত কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি। তার জেরে পুলিশে নিখোঁজ ডায়েরি করেছেন দম্পতি। অভিযোগ, অনেক পীড়াপীড়ি করলেও পুলিশ তাঁদের এফআইআর দায়ের করতে দেয়নি।