এই প্রথম ভারতে দ্বিপাক্ষিক সফরে আসছেন মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মইজ্জু। একাধিক পর্ব ঘিরে গত কয়েক মাসে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে খানিকটা শীতলতা আসে চিন-পন্থী মইজ্জুর দেশের। এবার তাঁর সফরে রয়েছে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা। অক্টোবর মাসে মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মইজ্জুর এই সফরের আগে, শুক্রবার তিনি মুখ খোলেন ভারতের সফর ঘিরে।
মহম্মদ মইজ্জু বলেন,'আমি ভারত সফরের পরিকল্পনা করছি যত দ্রুত সম্ভব। আমাদের খুব পোক্ত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক রয়েছে।' এখানেই শেষ নয়। মলদ্বীপে ভারতীয় সৈনিকদের অবস্থান নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মইজ্জু এর আগে বৃহস্পতিবারই বলেন,' কোনও পয়েন্টেই আমরা কখনও কোনও দেশের বিরোধী নই। এটা ইন্ডিয়া আউট ছিল না। মলদ্বীপের মাটিতে বিদেশি সৈনিকদের উপস্থিতি নিয়ে মলদ্বীপ গুরুতর সমস্যার মুখে পড়ে ছিল।' তাঁর সাফ বার্তা, ‘বিদেশি একজনও সৈনিককে নিজেদের মাটিতে চান না মলদ্বীপের মানুষ।’
মোদী-মইজ্জু বৈঠক কবে হতে পারে?
জানা যাচ্ছে, অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ভারতে আসতে চলেছেন মহম্মদ মইজ্জু। সূত্রের দাবি, দুই দেশের সম্পর্কে মেরামতি করতেই মইজ্জুর এই ভারত সফর। জানা গিয়েছে, তিনি ভারতে আগামী ৭ থেকে ৯ অক্টোবর সফর করবেন। এরমধ্যে ৭ অক্টোবর হতে পারে মোদীর সঙ্গে মইজ্জুর বৈঠক। সেদিনই ভারতের বহু নেতা মন্ত্রীদের সঙ্গে মইজ্জু বৈঠকে বসতে পারেন। এর আগে, গত ৯ জুন মোদী ৩.০ সরকারের শপথ অনুষ্ঠানে ভারতে সফরে এসেছিলেন মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট। তবে এবার প্রথম তিনি দ্বিপাক্ষিক সফরে আসছেন।
একাধিক বিতর্কিত অধ্যায় ও ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্ক
উল্লেখ্য়, লাক্ষাদ্বীপে ভারতের প্রধামন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফর নিয়ে মলদ্বীপের মন্ত্রীদের আপত্তিকর মন্তব্য দুই দেশের সম্পর্ককে নতুন করে বিপন্ন করে। এরপর ওই মন্ত্রীদের সাসপেন্ড হওয়া ও সদ্য তাঁদের মধ্যে ২ মন্ত্রীর ইস্তফা কূটনৈতিক দিক থেকে মইজ্জুর সফরের আগে তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে মলদ্বীপের ক্ষমতায় আসেন মইজ্জু। তারপর থেকে তিনি ভারতের ওপর মলদ্বীপের নির্ভরতা কমিয়ে ফেলার বিষয়ে সচেষ্ট হন। সেক্ষেত্রে মলদ্বীপের বুক থেকে তিনি ৮৫ জন ভারতীয় সৈনিককে সরিয়ে দিতে দিল্লির কাছে বার্তা দেন। যে বিষয়টিও দুই দেশের সম্পর্কে প্রভাব ফেলে। গত ডিসেম্বর মাসে, যৌথ হাইড্রোগ্রাফিক সমীক্ষার জন্য ভারতের সাথে ২০১৯ সালের একটি চুক্তি বাতিল করেছে মলদ্বীপ। তারপর এবার ভারতে আসছেন মইজ্জু।