পঞ্জাবের প্রত্যন্ত পাকিস্তান সীমান্তই হোক কিম্বা জম্মু, বারবার দেশে সন্ত্রাসের ছক কার্যকরী করার চেষ্টা হয়েছে ড্রোনের মাধ্যমে। ছোট ড্রোন দিয়ে বারবার ভারতের নিরাপত্তাকে চ্যালেঞ্জ করার চেষ্টা করছে শত্রু শিবির। এদিকে, রাত পোহালেই ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস। সেই জায়গা থেকে নিরাপত্তা বেষ্টনী আরও আঁটোসাটো গোটা দেশের। আলাদা করে নজরদারি চলছে লালকেল্লার।
এদিকে, লালকেল্লায় আগামীকাল স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার দিকে নজর প্রশাসনের। নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বিপজ্জনক ড্রোনকে রোখা বড়সড় চ্যালেঞ্জ ছিল প্রশাসনের কাছে। তবে ডিআরডিওর তরফে একটি নয়া ড্রোন সিস্টেম তৈরি করা হয়েছে। এই সিস্টেমে লালকেল্লার কাছে কোনও ছোট ড্রোন ৪ কিলোমিটারের মধ্যে আসলেই তৎক্ষণতাৎ তাকে খুঁজে বের করে ধ্বংস করে দেওয়া হবে। ফলে রাজধানীর বুকে লালকেল্লার নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে এমন উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্র। প্রসঙ্গত, দেশের ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে জাঁকজমক সহকারে দেশে আয়োজন করা হচ্ছে নানান ধরনের অনুষ্ঠান। তারই মাঝে নিরাপত্তাকে অক্ষুণ্ণ রাখা নিয়ে কোনও ফাঁক রাখছে না প্রশাসন
দিল্লিতে একাধিক স্তরে নিরাপত্তা বেষ্টনী রাখা হয়েছে। নজরদারি বাড়িয়ে দিয়েছে দিল্লি পুলিশ। অ্যান্টি -সাবোটেজ চেকিং চলছে বিভিন্ন জায়গায়। ক্যামেরায় ফেশিয়াল রেকগনিশন সিস্টেম ধরে রেখে চলছে কাজ। উল্লেখ্য, ১৫ অগস্ট স্বাধীনতা দিবসের দিন সকাল বেলায় লালকেল্লা থেকে সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন নরেন্দ্র মোদী। স্বাধীনতা দিবসের দিন এই বক্তব্যের সমারোহ ঘিরে ১০০০ টি হাই স্পেশিফিকেশন ক্যামেরা থাকবে। গোটা দিল্লিতে নজরদারি চলবে আকাশপথেও। এছাড়াও দিল্লি জুড়ে আইইডির খোঁজে নানান তল্লাশি চলছে।