ঝাড়খণ্ডে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে বড় উপহার দিল কেন্দ্র। বেশ কয়েকটি নতুন ট্রেন চালু করল রেল মন্ত্রক। বৃহস্পতিবার সাহেবগঞ্জ-হাওড়া ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসের সূচনা করলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। এই ট্রেনে করে ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দারা মাত্র ১২৫ টাকায় ৭ ঘণ্টা যাত্রা শেষে হাওড়া পৌঁছতে পারবেন। এছাড়াও পুরনো দিল্লি ও গোড্ডার মধ্যে চালু হয়েছে নতুন সাপ্তাহিক এক্সপ্রেস। অন্যদিকে, ট্রেন নিয়ে আরও বেশ কিছু দাবি ছিল ঝাড়খণ্ডবাসীর। তার মধ্যে অন্যতম ছিল ঝাড়খণ্ডে আনন্দবিহার-আগরতলা তেজস রাজধানী এক্সপ্রেসের স্টপেজ দিতে হবে। সেই দাবিও নির্বাচনের আগে পূরণ করেছে কেন্দ্র।
আরও পড়ুন: ঝাড়খণ্ডে মেয়েদের মাসে ২১০০ করে দেবে বিজেপি, ইস্তেহারে জায়গা পেল না অনুপ্রেবশ
বৃহস্পতিবার সাহেবগঞ্জ - হাওড়া ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসের সূচনা করেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। এদিন একটি ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে পতাকা নাড়িয়ে এই ট্রেনের সূচনা করেন। এই উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সাহেবগঞ্জ রেল স্টেশনে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে এবং রেলের আধিকারিকরা। রেলমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ৭০০০ কোটি টাকার রেল প্রকল্প চলছে ঝাড়খণ্ডে। এছাড়া ৫৬ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের পরিকল্পনা রয়েছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে সাংসদ নিশিকান্ত দুবে বলেন, আগে ফারাক্কা এক্সপ্রেসে সাহেবগঞ্জ থেকে দিল্লি পৌঁছতে সময় লাগত ৩৭ ঘন্টা। কিন্তু এখন এই দূরত্ব কমে ১৮ ঘণ্টা হয়েছে। বুধবার পুরনো দিল্লি ও গোড্ডার মধ্যে একটি নতুন সাপ্তাহিক ট্রেন চালু হয়েছে। এই ট্রেনটি গোয়া, কোডারমা, জামুয়া, দেওঘর প্রভৃতি রেল স্টেশনে দাঁড়াবে। নিশিকান্ত দুবে বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার ঝাড়খণ্ডকে অনেক জাতীয় মহাসড়ক এবং রেল প্রকল্প দিয়েছে। যার ফলে এই রাজ্যটির দ্রুত বিকাশ হচ্ছে
অন্যদিকে, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন বঞ্চনার অভিযোগ তুলে কেন্দ্রকে আক্রমণ করেন। তিনি এক্স পোস্টে লিখেছেন, কেন্দ্র সরকার তার নিজের স্বার্থের কারণে ঝাড়খণ্ডের সাধারণ মানুষকে গভীর সমস্যার মধ্যে ফেলছে। তিনি লিখেছেন, একদিকে ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির কারণে মানুষের সমস্যা হচ্ছে, অন্যদিকে রাজ্যের বকেয়া ১.৩৬ লক্ষ কোটি টাকা না দেওয়ার কারণে ঝাড়খণ্ডের মানুষকে আরও সমস্যার দিকে ঠেলে দিচ্ছে কেন্দ্র। তিনি বিজেপি সাংসদদের প্রশ্ন করেছেন, কেন তারা ঝাড়খণ্ডের মানুষের কথা ভেবে কেন্দ্রের কাছ থেকে বকেয়া দাবি করেন না। গত তিনটি লোকসভা নির্বাচনে ঝাড়খণ্ডে বিজেপির অধিকাংশ নেতারা বকেয়ার টাকা চাইছে না কেন্দ্রের কাছে। এই লড়াইয়ে মানুষের সমর্থন চেয়েছেন হেমন্ত সোরেন।
তিনি বলেছেন, কেন্দ্রের কাছে টাকা চাইলেই মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হচ্ছে, গ্রেফতার করা হচ্ছে। তবে তিনি হয় পান না। ঝাড়খণ্ডের মানুষকে অধিকার রক্ষার জন্য লড়াই চালিয়ে যাবেন বলে তিনি জানান। তিনি আরও জানান, ঝাড়খণ্ডে বিজেপি সব শক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে কারণ তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে ঝাড়খণ্ডের মানুষের অধিকার কেড়ে নিতে চাইছে বিজেপি।