ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে রাজনৈতিক আবহ বদলে গেল। আজ, শুক্রবার বিজেপিতে নাম লেখালেন তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বিতাড়িত প্রাক্তন সভাপতি সুবল ভৌমিক। তাঁর সঙ্গে যোগ দেন সিপিএম বিধায়ক মোবসর আলি। মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার উপস্থিতিতে নয়াদিল্লির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যোগ দেন তাঁরা। একদিকে সিপিএমের মানিক সরকার এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না। তার উপর বিধায়ক ছেড়ে যাওয়ায় চাপ বাড়ল সিপিএমের। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের কিছু যায় আসে না। তবে দুই রাজ্যের ভোটগ্রহণের দিন বদল করল নির্বাচন কমিশন। ১৬ ফেব্রুয়ারি ত্রিপুরায় ভোটগ্রহণের কথা ছিল। যা পিছিয়ে ২৭ তারিখ করা হল। আর ২৭ তারিখ মেঘালয়ের ভোটগ্রহণের কথা থাকলেও এগিয়ে এল ১৬ ফেব্রুয়ারি।
২০২২ সালে ত্রিপুরায় সুবল ভৌমিককে দলের রাজ্য সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এবার সুবল ভৌমিক ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের একমাস আগে শুক্রবার যোগ দিলেন বিজেপিতে। ত্রিপুরার কৈলাশহরের সিপিএম বিধায়ক মোবসর আলিও যোগ দিলেন গেরুয়া শিবিরে। গতবার জিতলেও এবার মোবসরকে প্রার্থী করেনি সিপিএম। আসন সমঝোতায় তা ছাড়তে হয়েছে কংগ্রেসকে। তারপরেই সরাসরি ডিগবাজি খেলেন তিনি।
তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বিতাড়িত সুবল ভৌমিক আগে কংগ্রেস সদস্য ছিলেন। কংগ্রেস ছেড়ে ত্রিপুরা গ্রামীণ কংগ্রেস বলে একটি দল খোলেন। সেটা পরে উঠে যায়। তারপর তিনি যান বিজেপিতে। সেখানেও টিকতে পারেননি। তখন যোগ দেন তৃণমূলে। অর্থাৎ সিপিএম বাদ দিয়ে সব দলই করে ফেলেছেন সুবল। সেই সুবল আবার যোগ দিলেন পদ্ম শিবিরে। বিজেপিতে যোগ দিয়ে সুবল ভৌমিক বলেন, ‘উত্তর–পূর্ব ভারত প্রথম স্বীকৃতি পেয়েছে মোদীজির জন্য। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে এই অঞ্চলের উন্নয়ন হয়েছে। আমি আত্মবিশ্বাসী দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসবে বিজেপি ত্রিপুরায়’।
উল্লেখ্য, নাগাল্যান্ডের নির্বাচনের তারিখ অবশ্য অপরিবর্তিত আছে। ২৭ ফেব্রুয়ারি ত্রিপুরার সঙ্গে একই দিনে ভোট হবে উত্তর–পূর্বের এই রাজ্যে। তিন রাজ্যেই এক দফাতেই ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই তিন রাজ্যেই নির্বাচনের প্রচার শুরু হয়ে গিয়েছে। ঠিক কী কারণে ত্রিপুরা এবং মেঘালয়ের ভোটের দিন পরিবর্তন করা হল তার ব্যাখ্যা দেয়নি কমিশন।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup