সামনেই উত্তর প্রদেশে বিধানসভা ভোটের উপনির্বাচন। তার আগে, আরএসএস-র প্রধান মোহন ভাগবতের সঙ্গে দেড়ঘণ্টা রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন যোগী আদিত্যনাথ। জায়গাটা, মথুরার কাছে পরাখম গ্রাম। সেখানেই মঙ্গলবার এই রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়। লোকসভা ভোটের পর এই প্রথমবার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। প্রশ্ন উঠছে, এই আলোচনা কি উপনির্বাচন ও ২০২৭ সালের ভোটের পিচ প্রস্তুতির দিকে তাকিয়ে হচ্ছে?
পারখাম গ্রামে দেড় ঘণ্টা যোগী আদিত্যনাথ ও আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের বৈঠক চলে। উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে লোকসভা ভোটে বিজেপি শাসিত উত্তর প্রদেশে কার্যত মুখ থুবড়ে পড়ে বিজেপি। তারপর সামনেই রয়েছে উত্তর প্রদেশ বিধানসভার উপনির্বাচন। এই নির্বাচন যোগীর কাছে কার্যত শক্তি পরীক্ষার সমান। জানা যাচ্ছে, মথুরার কাছে এই গ্রামে যে বৈঠকে যোগী ও মোহন ভাগবত অংশ নিয়েছিলেন, সেই বৈঠকে ২০২৭ সালের ভোট ও আসন্ন উপনির্বাচন নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে ভাগবতের সঙ্গেই নৈশভোজ সারেন যোগী। তবে মিডিয়াকে এই বৈঠক থেকে দূরে রাখা হয়। এর নেপথ্য কারণ কী হতে পারে, তা জল্পনার বিষয়। এই বৈঠক নিয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক তথ্য উঠে আসেনি। বৈঠকের পর মথুরা থেকে আগ্রা হয়ে লখনউতে আসেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। তবে তারপরও সরকারের তরফে কিছু জানানো হয়নি। যে এলাকায় এই বৈঠক হয়, তা দীনদয়াল উপাধ্যায়ের জন্মস্থানের খুব কাছে। ফলত মনে করা হচ্ছে দুপক্ষের মধ্যে খুব তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সামনেই রয়েছে উত্তর প্রদেশে ৯ টি বিধানসভার উপনির্বাচন। এই উপনির্বাচনকে যে খুব হালকা ভাবে নিতে রাজি নয় বিজেপি, তা তাদের নেতাদের শরীরি ভাষায় স্পষ্ট। ২০২৪ লোকসভা ভোটের পর জমি ফিরে পাওয়ার লড়াইয়ের মরিয়া চেষ্টা চলছে বিজেপির।
উল্লেখ্য, ২০২৫ সালে সংঘের শতবর্ষ পূর্তি। তার কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করতেই মথুরার কাছে ওই এলাকায় গিয়েছিলেন মোহন ভাগবত। এলাকায় প্রায় ১০ দিনের সফরে মোহন ভাগবত। তারই মাঝে ভাগবত-যোগী বৈঠক বেশ তাৎপর্যপূরণ বিষয় গোবলয়ের রাজনীতিতে।