আরিয়ান প্রকাশ
এআইএডিএমকের বহিষ্কৃত নেতা ও পনিরসেলভাম ও আরও কয়েকজন মিলে আদালতে দলের সাধারণ সম্পাদক ভোটের বিরোধিতা করে আবেদন করেছিলেন। তবে বুধবার মাদ্রাজ হাইকোর্ট সেই অন্তর্বর্তীকালীন আবেদনকে খারিজ করে দিয়েছে। সেই ঘটনার জেরে আগামী দিনে ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর নেতা ইদাপাড়ি পালানিস্বামী বা ইপিএসের পথের সব কাঁটা কার্যত দূর হয়ে গেল। এবার দলের সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসতে তাঁর কার্যত আর কোনও বাঁধা রইল না।
ওপিএস ও তাঁর কয়েকজন অনুগামী আদালতে আবেদন করেছিলেন যাতে দলীয় নির্বাচনে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি গত ১১ জুলাই দলের তরফে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল তার বিরোধিতাও করেছিলেন তারা।
এদিকে রায়ের পরে এআইএডিএমকের ইলেকশন ইন চার্জ নাথাম আর বিশ্বনাথন ও পোল্লাচি ভি জয়ারামন ইপিএসকে দলের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে ঘোষণা করে দিয়েছেন। রায় ঘোষণা হওয়ার পরেই ইপিএসের অনুগামীরা রাস্তায় বেরিয়ে মিষ্টি বিতরণ করা শুরু করে দেন। আনন্দে বাজিও ফাটছে ক্রমাগত।
এদিকে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট মাদ্রাজ হাইকোর্টের ২রা সেপ্টেম্বরের নির্দেশকে বহাল রেখেছিল। হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ ওপিএসের পক্ষে সিঙ্গল বেঞ্চের অর্ডারকে পাশে সরিয়ে রাখে। তার জেরে ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশকে চ্য়ালেঞ্জ জানিয়ে ওপিএস শীর্ঘ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।
এদিকে গত বছর হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে পালানিস্বামী এআইএডিএমকের দলীয় নির্বাচন অংশগ্রহণ করেন ও সেই ভোটে জিতে যান। এরপর ইপিএসকে অন্তর্বর্তীকালীন সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসানো হয়। এরপর ওপিএসকে দল থেকে কার্যত বহিষ্কার করা হয়। প্রসঙ্গত তামিলনাড়ুর রাজনীতিতে ওপিএস এবং ইপিএসের মধ্য়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিবাদ রয়েছে। তবে এদিন আদালতের নির্দেশ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এদিনের রায়ের পরে আরও কোণঠাসা হয়ে গেলেন ওপিএস। সেই জায়গায় উঠে এলেন ইপিএস।
পনিরসেলভামকে যখন দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল তখন কোষাধক্ষ্যের চেয়ারে ছিলেন তিনি। তবে তিনি এরপর বেশি দিন আর সেই চেয়ারে বসার সুযোগ পাননি। তাকে এরপর দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
এদিকে পনিরসেলভাম ২০০১ ও ২০১৪ সালে দুবারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসেছিলেন। সেই সময় জয়ললিতার বিরুদ্ধে হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তি রাখার অভিযোগ উঠেছিল। এরপর ২০১৬ সালে জয়ললিতার মৃত্যুর পরে তিনি ফের ওই চেয়ারে বসেছিলেন। কিন্তু দুমাসের মধ্যেই তিনি ইস্তফা দিতে বাধ্য হয়েছিলেন। কারণ দল সেই সময় দ্বিধাবিভক্ত হয়ে গিয়েছিল। তার জেরেই সরে যান ওপিএস। সেই জায়গায় উঠে আসেন ইপিএস। তিনিই মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসেছিলেন।