ছাত্র ভর্তি হচ্ছে না, ২০২৪ পর্যন্ত নিষিদ্ধ থাকবে নতুন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ

মুম্বইয়ের এক বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ প্রিন্সিপাল বলেন, অন্যান্য কর্মমুখী কোর্সের দিকে ঝুঁকছে পড়ুয়ারা। সেকারণেই ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রতি তারা উৎসাহ হারাচ্ছে।

:নতুন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলিকে নিষিদ্ধ করা হল আরও দু বছরের জন্য। (প্রতীকী ছবি REUTERS) (REUTERS)

২০২৪ সাল পর্যন্ত দেশের সমস্ত নতুন ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট নিষিদ্ধ ঘোষণা করল অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর টেকনিকাল এডুকেশন( AICTE)।২০২০ সালে দেশ জুড়ে বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে প্রায়  ৪৫ শতাংশ সিট শূন্য রয়েছে। সেই নিরিখেই নতুন ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটগুলিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। গত ১৭ই ডিসেম্বর নাগপুরের বৈঠকে এব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এআইসিটিইর চেয়ারম্যান অনিল সহস্রবুদ্ধে জানিয়েছেন, বর্তমান পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার জন্য একটা কমিটি তৈরি করা হয়েছিল। তাদের রিপোর্টে যথার্থভাবেই বলা হয়েছে যে নতুন কলেজগুলির উপর নিষিদ্ধকরণ আরও ২ বছর বাড়িয়ে দেওয়া দরকার। ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলিতে শূন্য আসনের পরিমাণ কিছুটা কমেছে। তবে সেই পরিস্থিতির আরও উন্নতির জন্য নতুন ইনস্টিটিউটগুলির উপর নিষিদ্ধকরণ বৃদ্ধি করা দরকার। 

এদিকে পরিসংখ্যান বলছে, গত ৫ বছরে ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে ভর্তির হার ক্রমে কমেছে। ২০১৫-১৬ সালে যেখানে ছাত্রছাত্রীদের ভর্তি সংখ্যা ছিল প্রায় ৩ মিলিয়ন। সেখানে ২০২০-২১ সালে সেই সংখ্যা এসে দাঁড়ায় ২.৪ মিলিয়ন। এর জেরেই ২০২০-২১ সাল থেকে নতুন ইনস্টিটিউটগুলির নিষিদ্ধকরণ করা হয়েছেে। এদিকে দেখা যাচ্ছে ছাত্র ভর্তি না হওয়ায় প্রচুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ আর চালাতে চাইছে না। ৬৩টি ইনস্টিটিউট বন্ধ করার আবেদন চলতি বছরেই অনুমোদন করা হয়েছে। ৩২টি ইনস্টিটিউট অনুমোদন প্রত্যাহার করে নেওয়ার আবেদন করেছে। অন্তত ৫০০টি কলেজ নতুন করে আর অনুমোদন রিনিউ করতে চাইছে না।

তার পরিপ্রেক্ষিতে গত ২ বছরে কেবলমাত্র সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজেরই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। মুম্বইয়ের এক বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ প্রিন্সিপাল বলেন, অন্যান্য কর্মমুখী কোর্সের দিকে ঝুঁকছে পড়ুয়ারা। সেকারণেই ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রতি তারা উৎসাহ হারাচ্ছে।