অ্যান্টি-প্যারাসাইটিক ওষুধ আইভারমেকটিনে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ কমে না। এমনই দাবি করা হল এইমসের একটি গবেষণায়। ১৫৭ জন রোগীর উপর এই সংক্রান্ত সমীক্ষা চালায় এইমস। গতবছর জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর এই সমীক্ষার তথ্য দোগাড় করা হয়েছিল। সেই তথ্য পর্যালোচনা করেই রিপোর্টে এইমসের তরফে দাবি করা হয় যে আইভারমেকটিনে করোনা সারে না।
সমীক্ষা করতে রোগীদের তিন ভাগে ভাগ করেছিল এইমস। একদল রোগীকে ১২ মিলিগ্রাম আইভারমেকটিন দেওয়া হচ্ছিল। অপর দল রোগীকে দেওয়া হচ্ছিল ২৪ মিলিগ্রাম আইভারমেকটিন। এবং শেষ দলের রোগীদের দেওয়া হচ্ছিল প্লেসেবো। তাতে দেখা যায় যে আইভারমেকটিনের ফলে কোনও রোগীর শরীরে ভআইরাল লোড কমেছে, এরম কোনও প্রমাণ মেলেনি। বা ওষুধ প্রয়োগের সময়কালে উল্লেখযোগ্য ভাবে কোনও রোগীর শরীরে ভাইরাল লোডও কমেনি।
এর আগে কোভিড মোকাবিলায় আইভারমেকটিন প্রয়োগের নিদান দিয়েছিলেন গোয়ার গোয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিশ্বজিৎ রাণে। তবে সেই প্রস্তাব গোয়ার চিকিৎসা প্রোটোকলে যুক্ত হওয়ার পরই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে আইভারমেকটিন প্রয়োগের বিষয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল। ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল ছাড়া কোভিডের জন্য আইভারমেকটিন ব্যবহার না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে।
যদিও এর আগে আমেরিকান জার্নাল অফ থেরাপিউটিক্সে প্রকাশিত একটি গবেষণা পত্রে তিন গবেষক দাবি করেছিলেন, বিশ্বজুড়ে আইভারমেকটিন ব্যবহার করে কোভিড অতিমারীকে শেষ করা যেতে পারে। কারণ, এই ওষুধ নিয়মিত খেলে শ্বসনতন্ত্রে প্রাণঘাতী রোগের ঝুঁকি কমায়। তবে এই দাবি নিয়ে সংশয় রয়েছে এখনও। এরই মাঝে এইমস জানাল কোভিড চিকিত্সায় আইভআরমেকটিন কাজে লাগে না।