গত বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসকে মহামারী ঘোষিত করার অনুরোধ আসে রাজ্যগুলির কাছে৷ এরপর মিউকোরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসকে মহামারী ঘোষণা করে বিহার, রাজস্থান সহ একাধিক রাজ্য। কেন্দ্রের অনুরোধে সাড়া দিয়ে তামিলনাড়ু, গুজরাত, ওড়িশা ও চণ্ডীগড় ব্ল্যাক ফাংগাসকে মহামারী ঘোষিত করে।
এই আবহে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস কী কারণে হতে পারে, তা নিয়ে স্পষ্ট ধারণা দিলেন দিল্লির এইমস হাসপাতালের শীর্ষ নিউরোসার্জেন ডঃ পি শরৎ চন্দ্র৷ এদিন তিনি জানান, ডায়াবিটিজ থাকা কোভিড রোগীদের চিকিৎসায় স্টেরয়েড ব্যবহার করা হলে ও তাঁকে ভেন্টিলেটরে রাখা হলে, তাঁর শরীরে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ ছড়ানোর ঝুঁকি প্রবল৷ কোভিড রোগীদের চিকিৎসার ষষ্ঠ সপ্তাহে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি বলে তিনি জানিয়েছেন৷
তিনি আরও বলেন, 'ব্ল্যাক ফাংগাস হওয়ার কারণগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবিটিজ, চিকিৎসায় স্টেরয়েডের ব্যবহার, ভেন্টিলেশনে থাকা এবং বিকল্প অক্সিজেন নেওয়া৷ সিলিন্ডার থেকে সরাসরি ঠান্ডা অক্সিজেন দেওয়াটা খুবই মারাত্মক৷ ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ রুখতে রোগীকে অ্যান্টি ফাঙ্গাল ওষুধ পোসাকোনাজোল দেওয়া যেতে পারে৷'
টানা মাস্ক পরে থাকা থেকেও বিরত থাকতে বলে তিনি বলেছেন, 'দীর্ঘ সময় মাস্কের ব্যবহার ঠিক না, কারণ কাপড়ের মাস্ক টানা কোথাও পড়ে থাকলে তাতে ছত্রাকের সংক্রমণ দেখা দিতে পারে৷ কাপড়ে মাস্ক রোজ ধোয়া প্রয়োজন এবং এন৯৫ মাস্ক পাঁচবার ব্যবহারের পর বাতিল করে দেওয়া উচিত৷' মিউকোরমাইকোসিসকে মহামারী রোগ আইনের আওতায় নোটিফায়েবল রোগের তকমা দিয়েছে রাজস্থান, গুজরাত, পঞ্জাব, হরিয়ানা, কর্নাটক, ওড়িশা, তেলাঙ্গানা ও তামিলনাড়ু৷