এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসে জুড়ে গেল এয়ার এশিয়া। এই আবহে ভারতীয় ঘরোয়া উড়ান ক্ষেত্রে নয়া যাত্রা শুরু করবে টাটার এই উড়ান সংস্থা। অক্টোবর থেকেই এই সংস্থা উড়ান শুরু করবে। জানা গিয়েছে, এয়ার এশিয়ার সব বিমানেরই এয়ার অপারেটর সার্টিফিকেট পেয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস। ডিজিসিএ-র ডিরেক্টর বিক্রম দেব দত্ত এই নিয়ে বলেন, 'এআইএক্স কানেক্ট (এয়ার এশিয়া)এবং এয়ার ইন্ডিয়ার সফল সংযুক্তিকরণ ভারতীয় উড়ান ক্ষেত্রে নয়া বেঞ্চমার্ক স্থির করেছে।' (আরও পড়ুন: কয়েক দফায় দর কষাকষি ভারতের, ২৬টি রাফালের দাম কমাল ফ্রান্স: রিপোর্ট)
আরও পড়ুন: 'IMF-এর থেকে বেশি টাকা দিতাম পাকিস্তানকে', পড়শিদের নিয়ে বড় মন্তব্য রাজনাথের
উল্লেখ্য, কয়েক বছর আগেই কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে টাটার মালিকানা হস্তান্তর হয়েছিল টাটাদের হাতে। ‘মহারাজার’ ঘর ওয়াপসির পরই বাণিজ্য মহলে জল্পনা তৈরি হয়েছিল, ব্যবসার প্রসার ঘটাতে এবার এয়ার ইন্ডিয়ার পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে? এই আবহে ২০২২ সালেই এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের সঙ্গে এয়ার এশিয়া ইন্ডিয়া সংস্থাটির সংযুক্তিকরণের জন্য ঝাঁপিয়েছিল টাটা। উল্লেখ্য, এয়ার এশিয়া ইন্ডিয়া সংস্থাটিও টাটার মালিনাধীন একটি সংস্থা।
এদিকে এয়ার ইন্ডিয়ায় মিশে যাবে ভিস্তারা। এর আগে এয়ার ইন্ডিয়ার সঙ্গে ভিস্তারার মার্জারের ক্ষেত্রে সবুজ সংকেত দিয়ে দিয়েছিল ডিরেক্টোরেট জেনারেল অফ সিভিল এভিয়েশন। এই আবহে বছর শেষের আগে এই মার্জার কার্যকর করতে বিদেশি বিনিয়োগকারী পার্টনার সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের সম্মতির প্রয়োজন। এর আগে গত এপ্রিল মাসে দেশ জুড়ে প্রায় রোজই পরপর উড়ান বাতিল হচ্ছিল ভিস্তারার। এই আবহে টাটার এই উড়ান সংস্থার সংকটে হস্তক্ষেপ করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক ফ্লাইট বাতিলের বিষয়ে ভিস্তারার কাছ থেকে একটি বিশদ রিপোর্ট চেয়েছিল। এদিকে ভিস্তারাকে তাদের ফ্লাইট বিলম্ব এবং বাতিলের দৈনিক বিবরণ জমা দিতে বলেছিল ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল এভিয়েশন।
এয়ার ইন্ডিয়ার সঙ্গে সংযুক্তিকরণের আগে ভিস্তারা নিজের ওপর ভর করে ভালোই কাজ করছিল। এই আবহে এয়ার ইন্ডিয়ার সঙ্গে সংযুক্তিরণে অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন অনেক কর্মী। এতে কাজ হারানোর আশঙ্কায় ভুগতে শুরু করেন অনেকে। এই পরিস্থিতিতে উড়ান পরিষেবা ব্যাহত হয় ভিস্তারার। তবে সেই সব সংকট কেটেছে। আর এবার ডিজিসিএ-র অনুমোদনও মিলেছে। এদিকে ভিস্তারা এয়ার ইন্ডিয়াতে মিশে যাওয়ায় টাটার এই উড়ান সংস্থার পরিষেবা আরও প্রসারিত হবে। অপরদিকে এআই এক্সপ্রেসের সঙ্গে এয়ার এশিয়ার মার্জারের ফলে সাশ্রয়ী উড়ান সংস্থার পরিষেবার পরিধি বৃদ্ধি পাবে। এই আবহে টাটা গোষ্ঠীর অধীনে তখন দু'টি উড়ান সংস্থা থাকবে। বর্তমানে, টাটা গোষ্ঠীর অধীনে চারটি পৃথক ব্র্যান্ডে বিমান উড়ছে আকাশে।