ফের খবরে বিমান সংস্থা 'এয়ার ইন্ডিয়া'। এবার এই অসামরিক পরিবহন সংস্থার এক কেবিন ক্রিউয়ের বিরুদ্ধে সোনা পাচারের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের জেরে তাঁকে কোচি বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শফি শরফ নামের ওই কেবিন ক্রিউ ১,৪৮৭ গ্রাম সোনা পাচার করছিলেন বলে অভিযোগ।
কেরলের ওয়েনাদের বাসিন্দা শফি শরফ। পেশাগতভাবে তিনি এয়ার ইন্ডিয়ার কেবিল ক্রিউ। সোনা পাচারের দায়ে তাঁকে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, হাতের মধ্যে টেপ-এ আটকে ওই বিশাল পরিমাণ সোনা পাচার করছিলেন শফি। শার্টের স্লিভের ভিতর সেই সোনা নিয়ে শফি কোচি বিমানবন্দরে 'গ্রিন কাস্টমস ক্লিয়ারিং লেন' -এ ঢোকার চেষ্টা করছিলেন। যে লেনটি এমন কিছু সফরকারীদের জন্য, যে যাত্রীরা শুল্ক লাগু নেই এমন পণ্য নিয়ে বিমানবন্দর থেকে বের হন। সেই বিশেষ পথ দিয়ে বের হওয়ার চেষ্টা করছিলেন ওই ক্রিউ সদস্য। এদিকে, ততক্ষণে , ‘কাস্টমস প্রিভেন্টিভ কমিশনারেট’ এর আবগারী অফিসাররা গোপন সূত্রে শফির খবর পেয়ে যান। তাঁদের কাছে খবর ছিল, বাহারিন-কোঝিকোড-কোচি রুটের বিমানে এয়ার ইন্ডিার এক কেবিন ক্রিউ সোনা সরবরাহ করছেন। তিনি সোনাকে প্যাকেটে জড়িয়ে নিয়ে তা টেপ দিয়ে হাতে সেঁটে দেন। এরপর তাতে থাকে শার্টের ফুল স্লিভ। যাতে বিমানবন্দরে নেমে কেউ তাঁকে ধরতে না পারেন, তাই 'গ্রিন কাস্টমস ক্লিয়ারিং লেন' দিয়ে বের হওয়ার চেষ্টা করেন শফি। ( 'ভারত ম্যাট্রিমোনি'র হোলির বিজ্ঞাপনে কি কোনও সম্প্রদায়কে নিশানা? তু্ঙ্গে বিতর্ক)
বাহারিন থেকে আসা বিমানে শফি কোচিতে নামতেই তাঁকে ঘিরে ফেলেন আবগারী দফতরের অফিসাররা। রাত সাড়ে ৮ টার বিমানে কোচিতে নামার পরই তাকে নজর করা হয়। এরপর রাত ১০.৩০ টা নাগাদ শফিকে আটক করে আবগারী দফতর। এদিকে, চেন্নাই বিমানবন্দরে সদ্য. ৩.৩০ কোটি টাকার সোনার বার উদ্ধার হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজন শ্রীলঙ্কার বাসিন্দা। দক্ষিণের রাজ্যের এই দুই বিমানবন্দরের মধ্যে কোনও গোপন যোগ রয়েছে কি না, তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup