চাকরি গেল এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে ‘যাত্রীর গায়ে প্রস্রাব করা’ ব্যক্তির। একটি মার্কিন বহুজাতিক আর্থিক সংস্থার ভারতের সহ-সভাপতি ছিলেন অভিযুক্ত যাত্রী শঙ্কর মিশ্র। তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে দিয়েছে ওই মার্কিন সংস্থা। যে সংস্থার সদর দফতর ক্যালিফোর্নিয়ায়। তবে তাঁকে এখনও ধরতে পারেনি পুলিশ।
ওই মার্কিন সংস্থা ওয়েল ফার্গোর তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'ওই ব্যক্তিকে ওয়েল ফার্গো থেকে বরখাস্ত করা হল।' সেইসঙ্গে ওই সংস্থার তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, সংস্থার কর্মীরা যাতে পেশাদারি ও ব্যক্তিগত ক্ষেত্রে ভালো ব্যবহার করে, সেটাই চায় সংস্থা। সেই পরিস্থিতিতে 'এরকম অভিযোগ একেবারেই অনভিপ্রেতকর। আমরা তদন্তকারী সংস্থার সঙ্গে সবরকমের সহযোগিতা করছি।'
গত বছর ২৬ নভেম্বর এয়ার ইন্ডিয়ার নিউ ইয়র্ক-দিল্লির বিমানের বিজনেস ক্লাসে মত্ত অবস্থায় শঙ্কর নামে ওই ব্যক্তি এক মহিলা সহযাত্রীর গায়ে প্রস্রাব করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। যে মহিলা যাত্রীর বয়স ৭০-র ঘরে। সেই ঘটনা নিয়ে হইচই শুরু হওয়ার পর বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) শঙ্করের বিরুদ্ধে লুক-আউট সার্কুলার জারি করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানায় দিল্লি পুলিশ। এয়ার ইন্ডিয়ার কাছে মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যে শঙ্করের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
শঙ্করের সন্ধানে শুক্রবার দুপুর মুম্বইয়ে আসে দিল্লি পুলিশের চার সদস্যের একটি দল। সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুম্বইয়ে পৌঁছে শহরতলির নেহরু নগর থানায় আসেন দিল্লি পলিশের চারজন সদস্য। শঙ্করের খোঁজে মুম্বইয়ে এসেছেন বলে জানিয়ে স্টেশন ডায়েরিতে নাম নথিভুক্ত করেন।তারপর মুম্বই পুলিশের কোনও প্রতিনিধিকে না নিয়েই শঙ্করের খোঁজে বেরিয়ে পড়ে দিল্লি পুলিশের দল। কুরলার (ইস্ট) কামগর নগরে শঙ্করের বি৪৭ বাংলোয় পৌঁছে যায়। এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, শঙ্করের বাংলোয় তালা লাগানো ছিল।
তারইমধ্যে টাটা গ্রুপের বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়ার তরফে জানানো হয়েছে, শঙ্করের উপর ৩০ দিনের নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে। সেইসঙ্গে বিমানকর্মীদের কোনও গাফিলতি ছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখার জন্য অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু করা হয়েছে। যে বিমানকর্মীদের ইতিমধ্যে ডেকে পাঠিয়েছে দিল্লি পুলিশ। তলব করা হয়েছে এয়ার ইন্ডিয়ার নিউ ইয়র্ক-দিল্লি বিমানের পাইলটকেও।