করোনা থেকে বিদেশে থাকা ভারতীয়দের বাঁচাতে লড়েছিলেন কঠিন লড়াই। এরপর করোনা জর্জরিত দেশবাসীকে স্বস্তি দিতে বিদেশ থেকে উড়িয়ে এনেছেন বহু সরঞ্জাম। এয়ার ইন্ডিয়ার এহেন সিনিয়র পাইলট এবার করোনার লড়াইতে হেরে গেলেন। রবিবার মুম্বইতে মারা যান এয়ার ইন্ডিয়া পাইলট ক্যাপ্টেন অমৃতেশ প্রসাদ। প্রসাদের স্ত্রীও করোনা আক্রান্ত। তিনি আপাতত হাসপাতালে ভরতি আছেন। তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, কোভিডে মৃত্যু হওয়া দ্বিতীয় পাইলট প্রসাদ।
বোয়িং ৭৭৭-এর পাইলট ৫৪ বছর বয়সি অমৃতেশ শেষবার স্যান ফ্রান্সিস্কো থেকে উড়ে এসে বেঙ্গালুরুতে ল্যান্ড করেছিলেন ১৫ এপ্রিল। তিনি মুম্বইয়ের বাসিন্দা। ২০ এপ্রিল বাড়ি ফেরার পর থেকেই তিনি শারীরিক অসুস্থতার বিষয়ে অভিযোগ করেন। এরপর তাঁর করোনা পরীক্ষা করানো হলে রেজাল্ট পজিটিভ আসে। এরপরই তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল। বন্দে ভারত মিশন ছাড়াও বেশ কয়েকটি কার্গো ফ্লাইটের দায়িত্বেও ছিলেন ক্যাপ্টেন অমৃতেশ।
উল্লেখ্য, এর আগে এয়ার ইন্ডিয়ার পাইলটদের ইউনিয়ন ইন্ডিয়ান কমার্শিয়াল পাইলটস অ্যাসোসিয়েশনের তরফে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল যে টিকা না পেলে কর্মবিরতিতে যাবেন তাঁরা। ইউনিয়নের স্পষ্ট দাবি, এই আবহে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে টিকা ছাড়া কাজ করবেন না। যে সমস্ত কর্মচারীরা অফিসের ডেস্কে এবং বাড়ি থেকে কাজ করছেন তাঁরা টিকা নিতে পেরেছেন। এবং ফ্লাইং ক্রুদের ঝুঁকির মধ্যে রাখা হয়েছে। পাশাপাশি তাঁদের দাবি, অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কর্মীদের টিকাকরণ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। যদি অবিলম্বে দেশ জুড়ে এয়ার ইন্ডিয়া কর্মীদের জন্য টিকাকরণ সেন্টার তৈরি না করা হয়, তাহলে তারা কাজ বন্ধ করে দেবেন।
পাইলট ইউনিয়নের অভিযোগ, অতিমারীর সময়ে ফ্লাইং ক্রু-রা নিজেদের স্বাস্থ্যের ঝুঁকি নিয়ে গ্রাহকদের পরিষেবা দিয়েছে। সব সীমা পার করে দিন-রাত কাজ করে গিয়েছে। এমনকি করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতিতেও সমান ভাবে বন্দে ভারত মিশন এবং উদ্ধারকাজ চালিয়ে গিয়েছেন বিমান কর্মীরা। তবে এই আবহে অনেক কর্মী হাসপাতালে ভর্তি। তাদের সাহায্য করছে না কর্তৃপক্ষ। ভ্যাকসিনের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে না।