কয়েক মাস আগেই কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে টাটার মালিকানা হস্তান্তর হয়েছিল টাটাদের হাতে। ‘মহারাজার’ ঘর ওয়াপসির পরই বাণিজ্য মহলে জল্পনা তৈরি হয়, ব্যবসার প্রসার ঘটাতে এবার এয়ার ইন্ডিয়ার পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে? এখনও এয়ার ইন্ডিয়া সেই নির্দিষ্ট জবাব হয়ত খুঁজে পায়নি। তবে টাটাদের মালিকানায় এয়ার ইন্ডিয়া যে আগ্রাসী ভাবে ব্যবসা করবে তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে তাদের এক পদক্ষেপে। জানা গিয়েছে এয়ার এশিয়া ইন্ডিয়া সংস্থাটিকে এয়ার ইন্ডিয়া কিনতে চাইছে। আর তাই কম্পিটিশন কমিশনকে এই সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবও পাঠিয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া।
উল্লেখ্য, এয়ার এশিয়া ইন্ডিয়া সংস্থাটিও টাটার মালিনাধীন একটি সংস্থা। এই সংস্থায় টাটা সনসের মালিকানা ৮৩.৬৭ সংস্থা। সংস্থার বাকি শেয়ারের মালিক এয়ার এশিয়া। এয়ার এশিয়া ইন্ডিয়া ২০১৪ সালের জুন মাসে ফ্লাইট শুরু করে। দেশের অভ্যন্তরে নির্ধারিত বিমান যাত্রী পরিবহণ, এয়ার কার্গো পরিবহন এবং চার্টার ফ্লাইট পরিষেবা দিয়ে থাকে এই সংস্থা। এয়ার এশিয়া ইন্ডিয়ার কোনও আন্তর্জাতিক উড়ান নেই।
এর আগে গত জানুয়ারি মাসেই এয়ার ইন্ডিয়া ও এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস সংস্থাগুলি কিনেছিল টাটারা। টাটা সনসের সাবসিডিয়ারি সংস্থা টেলেস প্রাইভেট লিমিটেড এয়ার ইন্ডিয়া কিনেছিল সরকারের থেকে। ২৭০০ কোটি টাকা নগদ এবং এয়ার ইন্ডিয়ার ১৫,৩০০ কোটি টাকা ঋণের বোঝা নিজেদের কাঁধে নিয়ে মোট ১৮ হাজার কোটি দিয়ে এয়ার ইন্ডিয়া কিনেছিল টাটারা। এদিকে সিঙ্গাপোর এয়ারলাইন্সের সঙ্গে যৌথ ভাবে ভিস্তারা নামক বিমান সংস্থাও পরিচালনা করে টাটারা। এই আবহে নিজেদেরই মালিনাধীন দুই সংস্থাকে একত্রিত করে এয়ার ইন্ডিয়াকে আরও শক্তিশালী করতে চাইছে টাটা।