বিমানটি ছিল নিউ ইয়র্ক থেকে দিল্লির। সেখানে এক দম্পতি ছিলেন সওয়ারি। এয়ার ইন্ডিয়ার ওই বিমানে বিজনেস ক্লাসে ভাঙা চোরা আসন ওই দম্পতি পান বলে অভিযোগ তোলেন। চণ্ডীগঢ় নিবাসী এই যাত্রী দম্পতির অভিযোগ, তাঁদের এমন দীর্ঘ যাত্রায় এই ধরনের ভাঙাচোরা সিটের জন্য মানসিক যন্ত্রণা তৈরি হয়। আর সেই যন্ত্রণার অভিযোগ তুলে দম্পতি দ্বরস্থ হন কোর্টের। কোর্টের নির্দেশেই পরে এয়ার ইন্ডিয়াকে ৫০হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, এই মামলায় কোর্টের নজরে আসে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অভিযোগকারী যাত্রীদ্বয়ের মধ্যে একজন বিশেষভাবে সক্ষম ছিলেন। ফলে এই দীর্ঘ যাত্রয় তাঁর অসুবিধা মানসিকভাবেও হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন দম্পতি। তাঁদের দাবি, এয়ারলাইন্সকে টিকিটের ৮ লাখ টাকা দেওয়ার পরও এমন সিট কেন তাঁদের দেওয়া হল, তা নিয়ে। চণ্ডীগড়ের জেলা ভোক্তা বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আরও রেকর্ড করেছে যে, অভিযোগকারীরা নিউ ইয়র্ক থেকে দিল্লি পর্যন্ত ৮,২৪,৯৬৪- টাকায় দুটি বিজনেস ক্লাস এয়ার টিকিট কিনেছিলেন। অভিযোগ, তাঁরা বিমানে যে সিটটি পেয়েছিলেন, তা এগিয়ে গিয়ে স্লাইড করতে পারে না। এই নিয়ে তারা অভিযোগ করলেও, লাভের লাভ হয়নি। আদালতের আদেশে আরও বলা হয়েছে যে অভিযোগ সত্ত্বেও এয়ার ইন্ডিয়া পরিস্থিতি সংশোধন করতে ব্যর্থ হয়েছে।
আদালতের আদেশে বলা হয়েছে, যে ভাঙা আসন অভিযোগকারীদের শারীরিক ব্যথা এবং অস্বস্তি সৃষ্টি করেছিল। যাত্রীদের একজনের এমনকি পুরো যাত্রায় তাঁর পা ফুলতে শুরু করে। পায়ের পাতায় যন্ত্রণা শুরু হয়। ১৪ ঘণ্টার সফরে এই ভাঙা আসনে যাত্রীদের অসন্তোষ বাড়তে থাকে। কোর্ট তার নির্দেশে নোট করেছে যে, এই গোটা যাত্রাপথে সমস্যায় পড়া দম্পতিকে পায়ের ভর দেওয়ার জন্য আলাদা টুল ব্য়বহার করতে হয়। অথচ বিমানের ভাড়া তাঁরা সম্পূর্ণ দেন। এদিকে , পাননি পরিষেবা। এই অভিযোগ, কোর্টে প্রমাণিত হতেই এয়ারইন্ডিয়াকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে কোর্ট। তাদের মামলাটি প্রতিষ্ঠার জন্য দম্পতি টিকিটের রসিদ, মেডিকেল রেকর্ড, ত্রুটিপূর্ণ আসনের ছবি এবং এয়ারলাইনের সাথে আদালতে চিঠিপত্র উপস্থাপন করেছিলেন। আদালত পুরো যাত্রা জুড়ে আসনের ঘাটতি দূর করতে অক্ষমতার জন্য এয়ারলাইনগুলিকে বুক করেছে।