বিমানে মহিলার গায়ে প্রস্রাব কাণ্ডের জেরে শঙ্কর মিশ্রকে শনিবারই গ্রেফতার করা হয়েছে। দিল্লি পুলিশ আগেই তাঁর নামে লুক আউট নোটিস জারি করেছিল। বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠছে, এত ঘৃণ্য় কাজের পরও কীভাবে ওই ব্যক্তিকে বিমানবন্দর থেকে বিনা বাধার বের হতে দেওয়া হল।
শঙ্কর মিশ্রকে গ্রেফতারির পর নানান প্রশ্ন উঠছে। এই ঘটনায় তাঁর গ্রেফতারির দেরি হওয়া কতটা যুক্তিযুক্ত? এদিকে, এই গোটা অভিযোগ, ‘মিথ্যা’ বলে দাবি করেছেন শঙ্কর মিশ্রের বাবা। শঙ্কর মিশ্রের তরফে দাবি করা হয়েছিল ‘ঘটনার কোনও প্রত্যক্ষদর্শী নেই’। এদিকে, শঙ্করের সঙ্গে ওই একই বিমানে থাকা সহযাত্রী চিকিৎসক সুগত ভট্টাচার্য মুখ খুলেছেন এক টিভি চ্যানেল কর্তৃপক্ষের কাছে। তিনি মুখ খুলেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন তিনি। তিনি অভিযোগ তোলেন, এয়ার ইন্ডিয়াকে নিয়ে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই চিকিৎসক সুগত ভট্টাচার্য বলছেন, এয়ার ইন্ডিয়ার ক্রিউদের তরফে ছিল খামতি। সুগত ভট্টাচার্য বিস্ফোরক বক্তব্যে বলছেন, সেদিন শঙ্কর মিশ্র মদ্য়প অবস্থায় ছিলেন। সুগতবাবু পরিস্থিতি বুঝেই বিমানের স্টিউয়ার্ডের বলেছিলেন তাঁকে আর মদ না পরিবেশন করতে। সুগত ভট্টাচার্যের বক্তব্য, তাঁর বলার পরও আরও মদ্যপান করেন শঙ্কর। তারপরই ঘটে সেই ঘটনা।
শঙ্করের সহযাত্রী ওই চিকিৎসক বলছেন, তিনি নিজের চোখে দেখেননি সেদিন শঙ্কর প্রস্রাব করেছিলেন কি না, তবে তারপরে ঘটে যাওয়া ঘটনাপ্রণালীর সাক্ষী ছিলেন সুগত ভট্টাচার্য। তিনি বলছেন, ঘটনার শিকার বৃদ্ধা মহিলাকে সঙ্গে সঙ্গে সেভাবে সাহায্যও করতে দেখা যায়নি ক্রিউদের তরফে। সুগত ভট্টাচার্য বলছেন, ‘তাঁর (৭০ বছরের বৃদ্ধা মহিলার) গোটা দেহে মূত্রের গন্ধ ছিল। ক্রিউরা তাঁকে কম্বল দেন। এরপর একটি ক্রিউসিট পাওয়ার পর মহিলাকে সেখানে বসতে দেওয়া হয়।’ সুগত ভট্টাচার্য বলছেন, ওই ঘটনা অপরাধমূলক হলেও সেদিন ক্রিউদের আচরণে হতবাক হয়ে যান সুগত ভট্টাচার্য।