অভিযোগকারী বৃদ্ধা নিজেই নিজের গায়ের প্রস্রাব করেছিলেন। এমনই দাবি করলেন এয়ার ইন্ডিয়ার প্রস্রাব-কাণ্ডে ধৃত শঙ্কর মিশ্রের আইনজীবী। সেইসঙ্গে শঙ্করের আইনজীবী যুক্তি দেন, ওই বৃদ্ধা আদতে কত্থক শিল্পী। আর ৮০ শতাংশ কত্থক শিল্পীই নিজেই নিজের গায়ে প্রস্রাবের সমস্যায় ভোগেন।
গত ৭ জানুয়ারি শঙ্করকে হেফাজতে নেওয়ার যে আর্জি জানিয়েছিল, তা গৃহীত হয়নি। এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে প্রস্রাব-কাণ্ডের অভিযুক্ত শঙ্করকে হেফাজতে পেতে ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে আবেদন জানায় দিল্লি পুলিশ।শুক্রবার সেই মামলার শুনানির সময় অভিযুক্ত শঙ্করের আইনজীবী দাবি করেন, তাঁর মক্কেল প্রস্রাব করেননি।
শঙ্করের আইনজীবী সওয়াল করেন, 'আমার মক্কেল দোষী নন। নিশ্চিতভাবে ওটা অন্য কেউ হবেন। উনি নিজেই প্রস্রাব করেছিলেন। মূত্রনালি সংক্রান্ত ওঁনার কোনও রোগ আছে। (শঙ্কর) প্রস্রাব করেননি। উনি নিজেই নিজের গায়ে প্রস্রাব করেছিলেন। উনি কত্থক শিল্পী। ৮০ শতাংশ কত্থক শিল্পীর এই সমস্যা আছে।' সঙ্গে তিনি বলেন, ‘শুধুমাত্র পিছন দিক থেকে তাঁর (অভিযোগকারী বৃদ্ধা) আসনের কাছে যাওয়া সম্ভব ছিল। কোনওভাবেই তাঁর আসনের সামনের দিকে প্রস্রাব যেত না। পিছনে বসে থাকা যাত্রীরাও এরকম কোনও অভিযোগ করেননি।’
যদিও দিল্লির সেশনস কোর্টের বিচারক বলেন, ‘বিমানের একদিক থেকে অপরদিকে যাওয়া মোটেও অসম্ভব নয়। আমিও বিমানে চড়েছি। যে কোনও সারি থেকে যে কেউ কাছে চলে আসতে পারেন এবং যে কোনও জায়গায় যেতে পারেন।’ সেইসঙ্গে গত ২৬ নভেম্বর এয়ার ইন্ডিয়ার নিউ ইয়র্ক-নয়াদিল্লি বিমানের আসনের নকশাও দেখতে চান বিচারক।
উল্লেখ্য, গত বছর ২৬ নভেম্বর এয়ার ইন্ডিয়ার নিউ ইয়র্ক-দিল্লির বিমানের বিজনেস ক্লাসে এক বৃদ্ধার নামে প্রস্রাবের অভিযোগ ওঠে শঙ্করের বিরুদ্ধে। যিনি মদ্যপ ছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই ঘটনা নিয়ে শোরগোল হওয়ার শঙ্করের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়। পরবর্তীতে বেঙ্গালুরু থেকে অভিযুক্ত শঙ্করকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যে ব্যক্তিকে ইতিমধ্যে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে মার্কিন বহুজাতিক আর্থিক সংস্থা ওয়েল ফার্গো। যে সংস্থার ভারতের সহ-সভাপতি ছিলেন শঙ্কর।
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)