এয়ার ইন্ডিয়ার উড়ানে টয়লেটকাণ্ডে এবার সংশ্লিষ্ট বিমানের পাইলট এবং চার কেবিন ক্রু সদস্যকে ডি-রোস্টার করেছে। এর পাশাপাশি তাদের শোকজ নোটিশও পাঠানো হয়েছে। এদিকে সংশ্লিষ্ট উড়ানের পাইলট, কো-পাইলট এবং বিমানকর্মীদের তলব করে দিল্লি পুলিশ। যদিও শুক্রবার তলবে সাড়া দিতে পারেননি এয়ার ইন্ডিয়ার কর্মীরা। শনিবার তাঁরা দিল্লি পুলিশের মুখোমুখি হবেন বলে জানা গিয়েছে। এদিকে আজ সকালই বেঙ্গালুরু থেকে অভিযুক্ত শঙ্কর মিশ্রকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। শঙ্কর মিশ্রের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪, ২৯৪, ৫০৯, ৫১০ নং ধারার অধীনে মামলা রুজু করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে তিন বছর পর্যন্ত মেয়াদের জন্য জেলে যেতে হতে পারে শঙ্করকে।
এয়ার ইন্ডিয়ার সিইও এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর ক্যাম্পবেল উইলসন ২৬ নভেম্বরের ঘটনায় ক্ষমা চেয়েছেন। সিইও বলেন, ঘটনায় সকল দিক নিয়ে প্রাথমিক তদন্ত চলছে। তিনি জানান, ভবিষ্যতে যাতে এই ধরনের ঘটনা ঘটলে তা আরও ভালোভাবে মোকাবিলা করা যায়, এর জন্য পদক্ষেপ করা হবে। (আরও পড়ুন: বিমানের বেয়াদপ যাত্রী আটকাতে হাতকড়া বা বেল্ট ব্যবহারের নির্দেশ DGCA-র)
কী ঘটেছিল এয়ার ইন্ডিয়ার উড়ানে?
অভিযোগ, ৭০ বছর বয়সি এক বৃদ্ধার গায়ে মত্ত অবস্থায় প্রস্রাব করেছিলেন শঙ্কর। ঘটনাটি ঘটে গত ২৬ নভেম্বর নিউইয়র্ক থেকে দিল্লিগামী বিমানে। সেই বৃদ্ধা এই ঘটনা সম্পর্কে কেবিন ক্রুকে অবগত করলেও অভিযুক্ত যাত্রীর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। এমনকী দিল্লি বিমানবন্দরে সেই বিমানটি অবতরণ করার পর অভিযুক্ত ব্যক্তি নিজের বাড়ি চলে যান। তখন সেই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। তবে জাতীয় মহিলা কমিশন ঘটনাটি নিয়ে সক্রিয় হয়েছে। পুলিশে এফআইআর করা হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, এআই-১০২ নং উড়ানে ঘটনাটি ঘটেছে। নিউইয়র্ক বিমানবন্দর থেকে উড়ানটি টেকঅফ করার পর লাঞ্চ দেওয়া হয় যাত্রীদের। এরপর যাত্রীদের বিশ্রাম নেওয়ার জন্য বিমানের লাইট বন্ধ করে দেওয়া। এরপরই অভিযুক্ত ব্যক্তি বৃদ্ধার আসনের সামনে এসে নিজের প্যান্টের জিপ খুলে মূত্র বিসর্জন শুরু করেন।
প্রস্রাব করার পরও অনেকক্ষণ নিজের গোপনাঙ্গ প্রদর্শন করে সেখানেই দাঁড়িয়ে ছিলেন সেই ব্যক্তি। এরপর বাকি যাত্রীরা প্রতিবাদ শুরু করলে সেই অভিযুক্ত সেখান থেকে চলে যান। তার আগে অবশ্য সেই বৃদ্ধার শরীর, জামা কাপড়, জুতো, ব্যাগ, আসন সেই অভিযুক্তের মূত্রে ভিজে যায়। এরপরে কেবিন ক্রু সেই বৃদ্ধাকে কিছু জামাকাপড় দেয়। তবে অন্য আসন ফাঁকা না থাকায় সেই মূত্রে ভেজা আসনেই যাত্রীকে বসতে হয়। আসনের ওপর দিয়ে একটি চাদর বিছিয়ে দিয়েছিলেন এক কেবিন ক্রু।