এয়ার ইন্ডিয়ার উড়ানে সহযাত্রীর গায়ে প্রস্রাব করা শঙ্কর মিশ্রকে বেঙ্গালুরু থেকে গ্রেফতার করা হল। শঙ্করের গ্রেফতারির কথা জানিয়েছেন দিল্লি পুলিশ কর্মকর্তারা। মার্কিন বহুজাতিক আর্থিক সংস্থার ভারতের সহ-সভাপতি ছিলেন অভিযুক্ত যাত্রী শঙ্কর মিশ্র। গতকালই তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে দিয়েছে ওই মার্কিন সংস্থা। গত বছর ২৬ নভেম্বর এয়ার ইন্ডিয়ার নিউ ইয়র্ক-দিল্লির বিমানের বিজনেস ক্লাসে মত্ত অবস্থায় শঙ্কর নামে ওই ব্যক্তি এক মহিলা সহযাত্রীর গায়ে প্রস্রাব করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। যে মহিলা যাত্রীর বয়স ৭০-র ঘরে। (আরও পড়ুন: বাইকে চড়তে অস্বীকার, মাঝরাস্তায় মহিলাকে হেলমেট দিয়ে মার ব্যক্তির, ভাইরাল ভিডিয়ো)
এই ঘটনা নিয়ে হইচই শুরু হওয়ার পর বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) শঙ্করের বিরুদ্ধে লুক-আউট সার্কুলার জারি করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানায় দিল্লি পুলিশ। এয়ার ইন্ডিয়ার কাছে মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে শঙ্করের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়। শঙ্কর মিশ্রের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪, ২৯৪, ৫০৯, ৫১০ নং ধারার অধীনে মামলা রুজু করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে তিন বছর পর্যন্ত মেয়াদের জন্য জেলে যেতে হতে পারে শঙ্করকে।
কী ঘটেছিল এয়ার ইন্ডিয়ার উড়ানে?
অভিযোগ, ৭০ বছর বয়সি এক বৃদ্ধার গায়ে মত্ত অবস্থায় প্রস্রাব করেছিলেন শঙ্কর। ঘটনাটি ঘটে গত ২৬ নভেম্বর নিউইয়র্ক থেকে দিল্লিগামী বিমানে। সেই বৃদ্ধা এই ঘটনা সম্পর্কে কেবিন ক্রুকে অবগত করলেও অভিযুক্ত যাত্রীর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। এমনকী দিল্লি বিমানবন্দরে সেই বিমানটি অবতরণ করার পর অভিযুক্ত ব্যক্তি নিজের বাড়ি চলে যান। তখন সেই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। তবে জাতীয় মহিলা কমিশন ঘটনাটি নিয়ে সক্রিয় হয়েছে। পুলিশে এফআইআর করা হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, এআই-১০২ নং উড়ানে ঘটনাটি ঘটেছে। নিউইয়র্ক বিমানবন্দর থেকে উড়ানটি টেকঅফ করার পর লাঞ্চ দেওয়া হয় যাত্রীদের। এরপর যাত্রীদের বিশ্রাম নেওয়ার জন্য বিমানের লাইট বন্ধ করে দেওয়া। এরপরই অভিযুক্ত ব্যক্তি বৃদ্ধার আসনের সামনে এসে নিজের প্যান্টের জিপ খুলে মূত্র বিসর্জন শুরু করেন।
প্রস্রাব করার পরও অনেকক্ষণ নিজের গোপনাঙ্গ প্রদর্শন করে সেখানেই দাঁড়িয়ে ছিলেন সেই ব্যক্তি। এরপর বাকি যাত্রীরা প্রতিবাদ শুরু করলে সেই অভিযুক্ত সেখান থেকে চলে যান। তার আগে অবশ্য সেই বৃদ্ধার শরীর, জামা কাপড়, জুতো, ব্যাগ, আসন সেই অভিযুক্তের মূত্রে ভিজে যায়। এরপরে কেবিন ক্রু সেই বৃদ্ধাকে কিছু জামাকাপড় দেয়। তবে অন্য আসন ফাঁকা না থাকায় সেই মূত্রে ভেজা আসনেই যাত্রীকে বসতে হয়। আসনের ওপর দিয়ে একটি চাদর বিছিয়ে দিয়েছিলেন এক কেবিন ক্রু।