ঘরোয়া উড়ান পরিষেবা শুরুর প্রথম দিনেই চূড়ান্ত দুর্ভোগের মুখে পড়লেন যাত্রীরা। তাঁদের অভিযোগ, উড়ান বাতিল হলেও বিমান সংস্থার তরফে কোনওরকম তথ্য দেওয়া হয়নি।
আধিকারিকরা জানিয়েছেন, বিভিন্ন রাজ্যের বিধিনিষেধের কারণে দিল্লিগামী ও দিল্লি থেকে ছা়ড়া প্রায় ৮০ টি উড়ান বাতিল হয়েছে। মুম্বই ও বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরেও একই অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন অনেক যাত্রী।
বেঙ্গালুরু-হায়দরাবাদ এয়ার ইন্ডিয়ার উড়ানের এক যাত্রী সংবাদসংস্থা এএনআইকে বলেন, ‘বিমানবন্দরে ঢোকার পথে যখন আমাদের বোর্ডিং পাস দেখা হচ্ছিল, তখন আমাদের জানানো হল বোর্ডিং বাতিল হয়ে গিয়েছে। এখন কী করব আমরা জানি না।‘
লকডাউনের জেরে দু’মাস বন্ধ থাকার পর আজ, সোমবার ঘরোয়া উড়ান পরিষেবা শুরু হয়েছে। উড়ান ওঠানামায় সবুজসংকেত দেয়নি পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা এবং অন্ধ্রপ্রদেশ। সেইমতো সোমবার ভোররাতে ৪ টে ৪৫ মিনিটে দিল্লি থেকে পুনেগামী একটি উড়ান ছাড়ে। তারপর সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে মুম্বই থেকে পাটনার উদ্দেশে একটি বিমান রওনা দেয়। দুটি উড়ানই ইন্ডিগোর।
থার্মাল স্ক্রিনিং এবং সুরক্ষা বর্ম
আজ সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বিমানবন্দরের বাইরে যাত্রীদের লম্বা লাইন দেখা যায়। পার্সোনাল প্রোটেক্টিভ ইক্যুপমেন্ট (পিপিই) পরে বিমানবন্দর আধিকারিক এবং নিরাপত্তা কর্মীরা যাত্রীদের থার্মাল স্ক্রিনিং করেন। নির্দিষ্ট বিধি অনুযায়ী যাত্রীদের বিমানবন্দরে ঢোকার অনুমতি মেলে। বিমানবন্দরের ভিতরে খাবার দোকানও খুলেছে।
দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনাল ৩-এর বাইরেও একই ছবি ধরা পড়ে। এক ফ্লাইট অ্যাটেন্ডেন্ট জানান, করোনাভাইরাস প্রকোপের কারণে যাত্রীদের সঙ্গে যথাসম্ভব কম কথা বলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমনদীপ কৌর নামে এক ফ্লাইট অ্যাটেন্ডেন্ট বলেন, ‘আমরা কিছুটা চিন্তিত। তবে কাজ আগে। উড়ান সংস্থার থেকে আমরা পিপিই পাব।‘
গত বৃহস্পতিবার বিমান চলাচলের নির্দেশিকা জারি করেছিল এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (এএআই)। সামাজিক দূরত্বের বিধি মেনে যাত্রীদের আসনের বন্দোবস্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়। বিকল্প চেক-ইন কাউন্টারের পাশাপাশি যাত্রীদের বাধ্যতামূলকভাবে ‘আরোগ্য সেতু‘ ডাউনলোডের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র।