শনিবার পাকিস্তানের এয়ারফোর্স বেসে মিয়ানওয়ালি এলাকায় হামলা চালানো হয়। একাধিক সংবাদমাধ্য়মের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, তেহেরিক ই জিহাদ পাকিস্তানের কমান্ডার আব্দুল আজিজ এই ঘটনার পেছনে রয়েছে। দাবি করা হচ্ছে এই হামলার পেছনে বড়সর হোম ওয়ার্ক করা হয়েছিল। একেবারে আটাঘাঁট বেঁধেই ময়দানে নেমেছিল তেহেরিক ই জিহাদ।
ভয়াবহ হামলা চালানো হয়েছিল। তিনটি বিমানকে ধ্বংস করা হয়েছে এই হামলায়। আইএসপিআর একটি বিবৃতিতে একথা জানিয়েছে। এর সঙ্গেই বলা হয়েছে, তিনজন জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছে। তারা এয়ারবেসে প্রবেশের চেষ্টা করছিল। তবে জঙ্গি গোষ্ঠীর তরফে বলা হয়েছে তারা বিরাট ক্ষতিসাধন করতে পেরেছে। তারপর তাদের খুন করা হয়েছে। এমনকী রাডার সিস্টেমকেও নষ্ট করে দিয়েছে তারা। তেলের ডিপোও ধ্বংস করেছে তারা।
একটি ভিডিয়ো সামনে এনেছে তারা। সেই ভিডিয়ো দেখিয়েই ধ্বংসলীলার কথা মনে করে দিয়েছে তারা। তাদের দাবি অন্তত ৩৫টি বিমানকে তারা ধ্বংস করে দিয়েছে। যে সাতজন এই হামলা চালিয়েছিল তাদের নামও প্রকাশ করেছে ওই সংগঠন।
পাকিস্তানের ওই এয়ার বেসে একেবারে তাণ্ডব চালায় ওই গোষ্ঠী। এবার ভিডিয়ো প্রকাশ করে তারা গোটা বিষয়টি জানিয়ে দিল। এমনকী আধুনিকতম অস্ত্রে সজ্জিত ছিল তারা। তাদের সঙ্গে নাইট ভিশন আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। মিলিটারি পোশাক পরেছিল তারা।
কিন্তু তেহেরিক ই জিহাদ পাকিস্তান নামে এই সংগঠনের পেছনে আসলে কে বা কারা রয়েছে?
মনে করা হচ্ছে এটা আসলে তেহেরিক ই তালিবান সংগঠনের একটা শাখা সংগঠন। এদিকে পাকিস্তানের কেয়ারটেকার প্রধানমন্ত্রী আনওয়াল উল হক কক্কর জানিয়েছেন, আমাদের সুরক্ষার উপর আঘাত হানার চেষ্টা করলে ফল ভালো হবে না। গোটা দেশ আপনাদের পাশে রয়েছে। আপনাদের সাহসের প্রতি কুর্নিশ জানাচ্ছি।
পাকিস্তানে একের পর এক জঙ্গি হামলা। সামনেই ভোট। তার আগে ভয়াবহ পরিস্থিতি। একে তো রাজনৈতিক অস্থিরতা। তার উপর এই জঙ্গি হামলা।