লক্ষ্য অর্থ সাশ্রয়। আর সেই কারণেই বিমানে চড়া এবং ডি-বোর্ডিংয়ের জন্য অ্যারোব্রিজ ব্যবহারে নারাজ ভারতের বিমান সংস্থাগুলি। কিন্তু তার ফলে সমস্যায় পড়ছেন বয়স্ক যাত্রীরা। সিঁড়ি ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা। সোমবার একটি সংসদীয় কমিটি এক রিপোর্টে এমনটাই জানিয়েছে।
অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের এই ধরনের বিমান সংস্থাদের শাস্তি দেওয়া উচিত, উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে। সেই সঙ্গে বলা হয়েছে, 'কমিটি বেসরকারি বিমান সংস্থাগুলির এই উদাসীন এবং অযৌক্তিক মনোভাবের প্রতি নিন্দা জানায়।'
অ্যারোব্রিজ কী?
অ্যারোব্রিজ হল একটি লম্বা টানেল। সেটি বিমানবন্দরের মূল বিল্ডিং থেকে বিমান পর্যন্ত থাকে। প্রয়োজন অনুযায়ী এই টানেলগুলি সরানোও সম্ভব। এটি ব্যবহার করলে যাত্রীদের সিঁড়ি দিয়ে ওঠার ঝক্কি কমে যায়। সময়ও অনেক কম লাগে। তাছাড়া বিমানযাত্রার সময়ে যাত্রীদের বিভ্রান্তিও কম হয়।
সমস্যা কোথায়?
‘যাত্রীদের চার্জ করা সত্ত্বেও, অপারেশনাল খরচ কমাতে বেসরকারি বিমান সংস্থাগুলি অ্যারোব্রিজ ব্যবহার করছে না,’ রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
নিয়ম কী বলছে?
অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রক ২০১৮ সালে সমস্ত ভারতীয় বিমানবন্দর অপারেটরদের কাছে একটি সার্কুলার জারি করে। তাতে বলা হয়, যদি যাত্রীদের বোর্ডিং এবং ডিবোর্ডিংয়ের জন্য একটি অ্যারোব্রিজ উপলব্ধ থাকে তবে সেটি তাঁদের সুবিধার জন্য ব্যবহার করা উচিত।