কেন মিডল সিট খালি রাখা হবে না, ভাইরাস কী জানবে সে প্লেনে আছে যে সংক্রমণ করবে না, এই কথা বলে সুপ্রিম কোর্ট তীব্র ভর্তসনা করেছিল। তার জেরেই এবার মিডল সিট নিয়ে নিজেদের নীতি বদলাল ডিজিসিএ।
নিয়ামক সংস্থা DGCA জানিয়েছে যে বিমানে মাঝের আসন খালি রাখার চেষ্টা করা হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্যেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা। বিমানসংস্থাদের এই মর্মে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে যতটা সম্ভব মিডল সিটে যাত্রীদের টিকিট না দিতে। কোনও ভাবে যাত্রীদের মিডল সিট দিতে হলে, যাত্রীদের বিশেষ কিট দেওয়ার কথাও জানিয়েছে ডিজিসিএ। দেওয়া হবে বিশেষ গাউন যাতে যতটা সম্ভব করোনার হাত থেকে রেহাই মেলে।
এদিন ডিজিসিএ জানিয়ে দিল যে এমন ভাবে আসন বণ্টন করতে বলা হয়েছে যাতে মাঝের আসন যতটা সম্ভব খালি রাখা যায়। বাস্তবে এই সিদ্ধান্ত কতটা কার্যকর হচ্ছে, সেটাই দেখার। কোনও উপায় না থাকলে মিডল সিট যদি দেওয়া হয়, সেই ক্ষেত্রে যাত্রীকে বিশেষ একটি গাউনর মতো পোশাক দেওয়া হবে শরীরকে সম্ভাব্য ভাইরাস থেকে রক্ষা করার জন্য। এর আগেই বিমান সংস্থাদের মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও ফেস শিল্ড দিতে বলেছিল ডিজিসিএ। তার সঙ্গে যুক্ত হল এই গাউন।
মাঝের আসন ফাঁকা রাখা নিয়ে ঘরোয়া বিমান চলাচল শুরু হওয়ার আগেও অনেক আলোচনা হয়েছিল। খসড়া এসওপিতে রাখাও হয়েছিল প্রাথমিক ভাবে যে মাঝের আসন খালি রাখা হবে। পরে অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী বলেন যে মাঝের আসন খালি রাখলে বিপুল পরিমাণ ক্ষতি হয়ে যাবে এয়ারলাইন্সগুলির।
কিন্তু ২৫ তারিখ থেকে ঘরোয়া সার্কেলে বিমান পরিষেবা চালু হওয়ার পর বেশ কিছু যাত্রীর শরীরে কোভিড মিলেছে। এমনকী এক পাইলট করোনা পজিটিভ হওয়ায় বিদেশ যাওয়ার পথে ফিরে আসে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান।