ত্রিপুরায় নিজেদের জমি শক্ত করতে ‘সমীক্ষক’ সংস্থা আইপ্যাককে নিয়োগ করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। উপনির্বাচনে তৃণমূলের হয়ে প্রচারে নেমেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে। মিমি চক্রবর্তীর মতো তারকাকেও তৃণমূল নিয়ে যায় ত্রিপুরার প্রচারে। তবে এত কিছু করেও লাভ হল না। কোনও আসন জেতা তো দূরের কথা, কোনও আসনে তৃতীয় স্থানেও আসতে পারেনি তৃণমূল কংগ্রেস। উপনির্বাচনে দলের হাল এতই খারপ যে চারটির মধ্যে তিনটি আসনে তো ১০০০ ভোটর গণ্ডিও পার করেনি তারা।
টাউন বড়দোয়ালী আসনে তৃণমূলের প্রার্থী সংহিতা ভট্টাচার্য পেয়েছেন ৯৮৬ ভোট। এই কেন্দ্রে ১৭,১৮১ ভোট পেয়ে জয়ী বিজেপি প্রার্থী তথা মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। আগরতলা আসনে তৃণমূলের পান্না দেব পান ৮৪২ ভোট। এই কেন্দ্রে ১৭,৪৩১ ভোট পেয়ে জয়ী কংগ্রেসের সুদীপ রায় বর্মন। সুরমা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী অর্জুন নমঃশূদ্র পেয়েছেন মাত্র ৪৬৯ ভোট। একমাত্র যুবরাজনগর কেন্দ্রে ১০০০ ভোটের গণ্ডি পার করেছে ঘাসফুল শিবির। এই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী মৃণাল কান্তি দেব পেয়েছেন ১০৭৩ ভোট।
এদিকে আগরতলা বাদে বাকি তিন আসনেই জয়ী হয় শাসকদল বিজেপি। এদিন টাউন বড়দোয়ালী আসনে জয়ী হন বিজেপি প্রার্থী তথা ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। এদিকে আগরতলা থেকে উপনির্বাচনে জয়ী হলেন কংগ্রেস প্রার্থী সুদীপ রায় বর্মন। প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন এ বার কংগ্রেসের টিকিটে লড়েন আগরতলা কেন্দ্র থেকে। কংগ্রেসের হয়ে সুদীপ আগরতলায় পান ১৭,৪৩১ ভোট। বিজেপি প্রার্থী অশোক সিংহ পান ১৪,২৬৮টি ভোট।