'সিক্রেট ওয়েপন' অজিত ডোভালেই আস্থা রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। টানা তৃতীয়বারের জন্য তাঁকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (এনএসএ) হিসেবে নিযুক্ত করা হল। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে যে আরও পাঁচ বছরের জন্য তাঁকে ক্যাবিনেট মন্ত্রীর পদমর্যাদা দিয়ে জাতীয় সুরক্ষা উপদেষ্টা হিসেবে বহাল রাখা হচ্ছে। একইভাবে মোদীর আরও এক আস্থাভাজন পিকে মিশ্রকেও পাঁচ বছরের 'এক্সটেনশন' দেওয়া হল। ডোভালের মতোই তাঁকে আরও পাঁচ বছরের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি পদে বহাল রাখার ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় সরকার।
পরপর জঙ্গি হামলা কাশ্মীরে
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে ডোভালের মেয়াদ একটা সময় বাড়ানো হল, যখন কাশ্মীরের একাধিক জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে। তিনদিনে তিনটি জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে। গত রবিবার রিয়াসিতে একটি তীর্থযাত্রী-বোঝাই বাসে হামলা চালায় জঙ্গিরা। তার জেরে গভীর খাদে পড়ে যায় বাসটি। মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে নয় তীর্থযাত্রীর। আহত হয়েছেন ৪১ জন।
আরও পড়ুন: Narendra Modi: জঙ্গি মোকাবিলায় সর্বশক্তি প্রয়োগ করুন, কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি বৈঠকে মোদী
দু'দিন পরেই ডোডায় একটি চেকপোস্টে হামলা চালায় জঙ্গিরা। আহত হয়েছেন সুরক্ষা বাহিনীর ছয়জন সদস্য। সেই রাতেই কাঠুয়া জেলায় গুলির লড়াইয়ে এক সিআরপিএফ জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। খতম করা হয়েছে এক জঙ্গিকেও। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছে, রিয়াসিতে যে হামলা চালানো হয়েছে, সেটার পিছনে পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবার হাত আছে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
মোদীর 'সিক্রেট ওয়েপন' ডোভাল
প্রথম মোদী সরকার এবং দ্বিতীয় মোদী সরকারের সময়ও ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ছিলেন ডোভাল। যিনি একটা চমকে দেওয়ার রীতি চালু করেন। ২০১৬ সালে উরিতে জঙ্গি হামলার পরে পাকিস্তানে ঢুকে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালানো হোক বা ২০১৯ সালে পুলওয়ামা হামলার পরে বালাকোটা এয়ার স্ট্রাইক চালানো হোক- ভারতের নীতিতে একটা আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে আসেন ডোভাল।
তবে শুধু পাকিস্তান নয়, জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতির উপর নজর রাখা, পশ্চিমী দুনিয়ার কয়েকটি দেশে খলিস্তানি জঙ্গিদের কার্যকলাপের উপর নজর রাখা, চিনের সঙ্গে সংঘাতের ঘটনা সামলানো, সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করা, সংযুক্ত আরব আমিরশাহির সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করার মতো বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন ১৯৬৮ ব্যাচের কেরল ক্যাডারের অফিসার ডোভাল। কাতারে প্রাক্তন ভারতীয় নৌসেনার আটজনের মৃত্যুদণ্ড রোখার ক্ষেত্রেও তিনিই ছিলেন মোদীর ‘সিক্রেট ওয়েপন।’
মোদীর আস্থাভাজন পিকে মিশ্র
পিকে মিশ্র হলেন ১৯৭২ ব্যাচের অবসরপ্রাপ্ত অফিসার। ভারত সরকারের কৃষি সচিব হিসেবে অবসরগ্রহণ করেছিলেন। পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী মোদীর প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি হিসেবে কাজ শুরু করেন। যিনি প্রশাসনিক কাজকর্ম সামলে থাকেন। আর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়েরও দেখভাল করেন।