জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টির সম্মেলন ঘিরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এনসিপির অন্দরে চিড় নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে এই সম্মেলনে ঘটে যাওয়া এক ঘটনার জেরে। জানা গিয়েছে, এনসিপির সম্মেলন চলাকালীনই শরদ পাওয়ারের সামনে থেকে উঠে চলে যান অজিত পাওয়ার। এরপরই এনসিপিতে অজিতের ভবিষ্যৎ নিয়ে কিঞ্চিত কানাঘুষো শুরু হয়েছে। উল্লেখ্য, মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী এর আগে ২০১৯ সালে বিজেপি সমর্থন করে ৩ দিনের সরকারের অংশ ছিলেন। পরে অবশ্য তিনি শরদের শরণে ফিরে এসে উদ্ধবের সরকারে উপমুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। (আরও পড়ুন: জলমগ্ন বেঙ্গালুরুর স্মৃতি ফিরল পুনেতে, ডুবে যাওয়া শহরে বিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সংযোগ)
জানা গিয়েছে, রবিবার এনসিপির সম্মেলন চলাকালীন জয়ন্ত পাটিল ভাষণ দিতে মাইকের সামনে গেলেই মঞ্চ ছাড়েন অজিত পাওয়ার। অজিত পাওয়ার এই সম্মেলনে ভাষণও রাখেননি। এরপর দলের অন্তর্দ্বন্দ্ব নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। পরে অবশ্য এই বিষয়ে অজিত বলেন, যেহেতু এই সম্মেলন জাতীয় স্তরের ছিল, তাই তিনি বক্তব্য রাখেননি।
আরও পড়ুন: অক্ষয়ের সরকারি অ্যাডে পণপ্রথার নিদর্শন? গডকড়ির ওপর রুষ্ট নেটিজেনরা
যদিও সম্মেলনের শুরুতে এনসিপি নেতা প্রফুল্ল প্যাটেল ঘোষণা করেছিলেন যে শরদ পাওয়ারের আগে ভাষণ রাখবেন অজিত পাওয়ার। পরে অবশ্য অজিত মঞ্চ ছাড়লে প্রফুল্ল ঘোষণা করেন, অজিত শৌচালয়ে গিয়েছেন। ফিরে এসে পরে ভাষণ রাখবেন। সেই সময় দলীয় কর্মীদের একাংশ অজিতের নামে স্লোগান তুলতে থাকেন। এদিকে শরদ কন্যা তথা সাংসদ সুপ্রিয়া শুলেকে দেখা যায় অজিতের সঙ্গে কথা বলতে। সূত্রের খবর, দাদা অজিতকে মঞ্চে ফেরাতে রাজি করছিলেন সুপ্রিয়া। পরে অজিত যতক্ষণে মঞ্চে ফেরেন, ততক্ষণে শরদ পাওয়ার নিজের বক্তব্য দেওয়া শুরু করে দেন। এর জেরে অজিত পাওয়ার আর ভাষণই রাখেননি সেই সভায়। এদিকে রবিবারের দলীয় সম্মেলনে এনসিপির তরফে শরদ পাওয়ারকেই আগামী চার বছরের জন্য সভাপতি হিসাবে নির্বাচিত করা হয়। ১৯৯৯ সালে দল গঠনের পর থেকে তিনিই এই পদে রয়েছেন।