নূপুর শর্মার শিরোচ্ছেদের ফতোয়া জারি করে গ্রেফতার হলেন আজমেঢ় শরীফের খাদিম সলমান চিস্তি। এই গ্রেফতারি প্রসঙ্গে আজমেঢ়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিকাশ সাঙ্গওয়ান বলেন, ‘আজমেঢ় দরগাহর খাদিম সলমান চিস্তিকে গতকাল রাতে গ্রেফতার করেছে আজমেঢ় পুলিশ। সাসপেন্ড হওয়া বিজেপি নেতা নূপুর শর্মার বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’
সদ্য এক ভাইরাল ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছিল আজমেঢ় শরীফের খাদিম নুপূর শর্মার শিরোচ্ছেদের হুঙ্কার দিচ্ছেন। তিনি বলেছিলেন, 'যে নুপূর শর্মার শিরোচ্ছেদ করবে, তাকে আমার বাড়ি আর সম্পত্তি দিয়ে দেব'। এমন বক্তব্যের ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই শুরু হয় নয়া বিতর্কের ঝড়। ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই সলমানের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩ ধারায় মামলা দায়ের করে পুলিশ। ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত, উস্কানি সহ বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে আজমেঢ় দরগার খাদিমের বিরুদ্ধে। যদিও এই ঘটনা নিয়ে তোলপাড় শুরু হতেই পলাতক হন সলমান চিস্তি। পরে গতকাল রাতে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদিকে ভাইরাল ভিডিয়োটির নিন্দা করে আজমেঢ় দরগাহ দেওয়ান জয়নুল আবেদিন আলি খানের অফিস বলেছে যে, এই মাজারকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জায়গা হিসাবে দেখা হয়। ভিডিয়োতে খাদিমদের প্রকাশিত মতামত দরগাহর বার্তা হিসাবে বিবেচনা করা যায় না।
এর আগে আজমেঢ় দরগাহর মূল ফটকের সামনে দাঁড়িয়ে প্ররোচণামূলক মন্তব্য করার অভিযোগে চারজনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এই ঘটনারও ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পর তোলপাড় শুরু হয়েছিল। যদিও এই ভিডিয়োটি প্রকাশ্যে এসেছিল ১৭ জুন। এবং অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছিল উদয়পুর হত্যাকাণ্ডের পর। রাজস্থানের উদয়পুরে সদ্য এক ব্যক্তি শিরোচ্ছেদের ঘটনা ঘিরে কার্যত প্রতিবাদের আগুন জ্বলে যায় গোটা রাজ্যে। সেখানে কানহাইয়ালাল নামে এক ব্যক্তিকে সদ্য শিরোচ্ছেদ করে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনার পর রাজস্থানে সাম্প্রদায়িকতা যাতে না ছড়িয়ে পড়ে, তার জন্য তৎপর পুলিশ।