উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে ভোটে লড়তে পারেন। সংবাদ সংস্থা এএনআই এক সূত্রের বরাত দিয়ে এই দাবি করেছে। এর আগে গত বছরের নভেম্বরে, অখিলেশ বলেছিলেন যে তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না। আজমগড়ের সাংসদ কখনও কোনও বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি। এর আগে ২০১২ বা ২০১৭ সালেও বিধানসভা ভোটে লড়েননি অখিলেশ। ২০১২ সালে যখন তিনি দেশের সর্বকনিষ্ঠ মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন তখনও তিনি আইন পরিষদের সদস্য হয়ে সরকার চালিয়েছিলেন।
ভোটে লড়ার বিষয়টি মোটামুটি ঠিক করা হয়ে গেলেও অখিলেশ কোন আসন থেকে লড়বেন, তা এখনও ঠিক হয়নি। তবে কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে অখিলেশ দুটি আসনে প্রার্থী হতে পারেন। এর মধ্যে একটি আসন আজমগড়ের গোপালপুর হতে পারে। উল্লেখ্য, যোগী আদিত্যনাথ নিজে ভোট ময়দানে অবতীর্ণ হওয়াতেই চাপ সৃষ্টি হয়েছিল অখিলেশের উপর। উপরন্তু, অখিলেশের ভাতৃবধূ অপর্ণা বিজেপিতে যোগ দিতে চলায় আরও চাপ বেড়েছে অখিলেশের উপর।
উল্লেখ্য, গতবছর অখিলেশ যখন জানিয়েছিলেন যে তিনি নির্বাচনে লড়বেন না, তখনও তিনি জানিয়েছিলেন, এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে দল। এই আবহে উত্তরপ্রদেশের ভোট ময়দানে যোগীর অবতরণ পাল্টা চাপ সৃষ্টি করেছে অখিলেশের উপর। বিজেপির তরফে প্রশ্ন করা শুরু হয়েছে, অখিলেশ কোথা থেকে লড়ছেন?
এদিকে বিজেপিকে হারাতে অখিলেশ হাত মিলিয়েছেন রাষ্ট্রীয় লোক দলের সঙ্গে। এর আগে ২০১৭ সালে কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ভরাডুবি হয়েছিল সমাজবাদী পার্টির। এই আবহে কংগ্রেসকে দূরে রেখেই ঘুঁটি সাজাচ্ছেন অখিলেশ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনও জোগাড় করতে সক্ষম হয়েছেন অখিলেশ যাজব। সঙ্গী হিসেবে পেয়েছেন শরদ পাওয়ারকেও। এই আবহে উত্তরপ্রদেশে বিজেপি বিরোধী মূল মুখ হয়ে দাঁড়িয়েছেন অখিলেশই। এই পরিস্থিতিতে তিনি সরাসরি ভোট ময়দানে না লড়লে তা নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করে অখিলেশকে জেরবার করতে পারে গেরুয়া শিবির।