গত বছরের মতোই এবছরেও অক্ষয় তৃতীয়া কাটছে করোনা আবহেই। হিন্দু ধর্ম-শাস্ত্র মতে আজকের দিনটি অত্যন্ত শুভ। এদিন সোনা বা রূপা কিনলে লক্ষীর আশীর্বাদ লাভ করা যায় বলে মনে করা হয়। তাছাড়া বছরে একবার করে অনেকে সঞ্চয় এই খাতে বিনিয়োগ করে রাখতেও পছন্দ করেন।
কিন্তু করোনা আবহে গুরুতর প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বের না হওয়াই ভাল। তাই এমন পরিস্থিতিতে সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং, আংশিক লকডাউন মেনে সোনা কিনতে যাওয়াটা মোটেও সহজ নয়।
কিন্তু সোনা কিনতে হলে যে গহনার দোকানে সোনার গহনা, কয়েন বা মূর্তি কিনতে হবে, এমন কোনও মানে নেই। গোল্ড ফান্ড, গোল্ড ইটিএফ এবং ই-গোল্ডের মাধ্যমেও কিন্তু সোনায় বিনিয়োগ করাই যায়। সোনা কেনাও হল, লক্ষ্মীর আশীর্বাদ লাভও হল!
এ বিষয়ে জানালেন ট্র্যানসেন্ড কনসালটেন্টস-এর কর্তা কার্তিক জাভেরি। তাঁর কথায়, 'করোনা পরিস্থিতিতে ভারত দ্রুত ডিজিটালাইজেশনের দিকে এগিয়েছে। গত বছর থেকেই তার প্রভাব পড়েছে সোনা কেনাবেচার ক্ষেত্রেও। করোনা আবহে গত বছর অক্ষয় তৃতীয়ায় অনেক বেশি মানুষ ডিজিটাল গোল্ড অপশনস-এ বিনিয়োগ করেছেন। ক্রেতারা চাইলে গোল্ড ফান্ড, গোল্ড ইটিএফ (এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড) এবং ই-গোল্ডে বিনিয়োগ করতে পারেন।'
কার্তিকের মতে, বর্তমান করোনা পরিস্তিতিতে দোকানে না গিয়েও সোনা কেনার ইচ্ছা এভাবেই মেটানো সম্ভব। সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং মেনেই হোক সোনায় বিনিয়োগ।
ট্যাক্স ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ জিতেন্দ্র সোলাঙ্কি জানালেন, যাঁদের ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট রয়েছে, তাঁরা গোল্ড ETF ক্রয় করতে পারেন। কিন্তু যাঁদের এখনও ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট নেই, তাঁরা মিউচ্যুয়াল ফান্ড মারফত ডিজিটাল গোল্ডে বিনিয়োগ করতে পারেন।এই ধরনে ক্রেতারা সিস্টেম্যাটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান মারফত গোল্ড ফান্ড বা ই-গোল্ড কিনতে পারেন।
গোল্ড ফান্ডে বিনিয়োগ করতে প্রচুর টাকা প্রয়োজন, এমনটা ভাবারও কোনও কারণ নেই। মাত্র ৫০০ টাকা থেকেই বিনিয়োগ সম্ভব। আর ই-গোল্ডের ক্ষেত্রে তো মাত্র ১ টাকার থেকেই বিনিয়োগ করা সম্ভব।
তাই এবারের অক্ষয় তৃতীয়ায় হোক ডিজিটাল সোনা কেনা। দোকানে হোক বা ডিজিটাল, সোনা তো সোনা-ই তাই না?