আফাগানিস্তানের পর এবার 'স্বাধীন' করা হোক কাশ্মীরকে। আফগানিস্তানে তালিবানি জয়ের শুভেচ্ছা বার্তা জানিয়ে এমনই আবেদন করে জঙ্গি সংগঠন আল-কায়দা। তালিবান-আল-কায়দা সখ্যতার কথা সবারই জানা। ২০০১ সালে আল-কায়দা খতম করতে এসে আমেরিকার নিশানায় আসে তালিবানও। এরপর দীর্ঘ ২০ বছর আফগানিস্তানে ছিল মার্কিন সেনা। ঠিক তত বছর ক্ষমতা থেকে দূরে থাকতে হয়েছিল তালিবানকেও। তবে আল-কায়দার মতো জঙ্গি সংগঠনকে সাহায্য না করার শর্তে আমেরিকাকে আফগানিস্তান ছাড়ার বিষয়ে চুক্তি করে তালিবান।
তবে তালিবান-আল-কায়দা সখ্যতা ফের একবার সামনে এল। আল-কায়দা তালিবানকে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়ে ইসলামিক সব এলাকাকে ইসলাম বিরোধীদের কাছ থেকে স্বাধীন করার ডাক দেয়। আল-কায়দার বার্তায় বলা হয়, 'ওহ্ আল্লাহ! লেভান্ত, সোমালিয়া, ইয়েমেন, কাশ্মীর এবং বাকি ইসলামী ভূখণ্ডকে ইসলামের শত্রুদের কবল থেকে মুক্ত করুন। ওহ্ আল্লাহ! বিশ্বব্যাপী মুসলিম বন্দীদের মুক্তি দিন।'
এদিকে গতকালই কাতারের দোহায় ভারতের সঙ্গে বৈঠকে বসে তালিবান। তালিবানের বক্তব্য, ভারতের সঙ্গে কোনও সংঘাতে যেতে রাজি নয় তারা। নয়াদিল্লির সঙ্গে যাবতীয় রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক এবং বাণিজ্যিক সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ারই পক্ষপাতী বলে জানিয়েছে তারা। তালিবানের হয়ে অন্তত এমনটাই দাবি করেছেন শের মহম্মদ আব্বাস স্ত্যানেকজাই।
আফগানিস্তানে তালিবানের পুনরুত্থানের পর থেকেই কার্যত এই জঙ্গিগোষ্ঠীর গুণগানে মেতেছে চিন, পাকিস্তানের মতো কিছু দেশ। স্বাভাবিকভাবেই ভারত সেই পথে হাঁটেনি। অন্যদিকে, ভারতের সঙ্গে তালিবানের তোষণ ও পোষণকারী চিন বা পাকিস্তানের সম্পর্কও দিন দিন খারাপ হচ্ছে। এই অবস্থায় এখনও পর্যন্ত আফগানিস্তানে তালিবানের পুনরুত্থান নিয়ে সরকারি ভাবে কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি ভারত।