সমাজবাদী পার্টির প্রাক্তন সাংসদ তথা কুখ্যাত গ্যাংস্টার আতিক আহমেদের মৃত্যুর 'প্রতিশোধ' নেওয়ার হুমকি দিয়ে ইদের বার্তা দিল আল-কায়দার শাখা সংগঠন। ভারতীয় মহাদেশের আল-কায়দা একটি বিবৃতিতে আতিক ও আশরাফকে 'শহিদ' আখ্যা দিয়েছে। ইদ উপলক্ষে প্রকাশিত তাদের সাত পাতার ম্যাগাজিনে আল-কায়দা আরও বলেছে যে তারা বিশ্বজুড়ে মুসলিমদের 'স্বাধীন' করতে চায়। হামলার পরোক্ষ হুঁশিয়ারি দিয়ে ম্যাগাজিনে লেখা হয়েছে, 'আমরা অত্যাচারীর হাত আটকে দেব। তা সে হোয়াইট হাউসে হোক বা দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি বা রাওয়ালপিন্ডিতে জিএইচকিউ (পাক সেনার সদর দফতর)। টেক্সাস থেকে তিহাড় থেকে আদিয়ালা পর্যন্ত - আমরা সমস্ত মুসলিম ভাই ও বোনদের তাদের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করব।'
আতিক আহমেদকে পুলিশি ঘেরাটোপের মধ্য়েই গুলি করে খুন করা হয়েছিল। উত্তরপ্রদেশের এই ঘটনাকে ঘিরে গোটা দেশজুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। এই আবহে গত শুক্রবারই বিহারের পটনায় এক মসজিদের সামনে আতিকের সমর্থনে স্লোগান ওঠে। আতিক, আশরাফকে 'শহিদ' আখ্যা দিয়ে যোগী, মোদীর নামে কুরুচিকর স্লোগানও তোলা হয়েছিল। এদিকে আতিকের কবরে জাতীয় পতাকা রেখে বিতর্কে জড়িয়েছেন এক কংগ্রেস নেতাও। প্রাক্তন সমাজবাদী পার্টি সাংসদ 'শহিদ' আখ্যা দিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা রাজকুমার সিং রাজ্জু। এই ঘটনার পরই পুলিশ রাজকুমারকের গ্রেফতার করে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি আতিকের ছেলে আসাদ আহমেদের মৃত্যু হয়েছিল এক এনকাউন্টারে। ছেলের শেষযাত্রায় অংশ নেওয়ার জন্য আতিক আবেদন জানালেও তাঁকে ছাড়া হয়নি। এই আবহে ছেলের শেষকৃত্যের দিন রাত ১০টা নাগাদ আতিককে প্রয়াগরাজের এক সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য। সেখানেই গাড়ি থেকে নামার পর আতিককে ঘিরে ধরেছিলেন সাংবাদিকরা। তাঁর ছেলের শেষযাত্রায় না যেতে পারা নিয়ে প্রশ্ন করা হচ্ছিল আতিককে। প্রথমে কিছু বলতে না চাইলেও কয়েক পা যাওয়ার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিতে শুরু করেছিলেন আতিক। কিছু কথা বলার পরই আচমকা আতিকের বাঁদিক থেকে এক বন্দুকধারী এসে মাথায় 'পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জে' গুলি করে তাঁকে। ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আতিকের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পাঁচ পুলিশকর্মীকেও সাসপেন্ড করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। এরই মধ্যে এই ঘটনাকে হাতিয়ার করে উত্তরপ্রদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অখিলেশ যাদব, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়রা। এরই মধ্যে এবার জঙ্গি সংগঠনের বিবৃতিতেও এই ইস্যু।