আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় ইস্যুতে কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যয়। সেই মামলার শুনানি পিছিয়ে গেল শুক্রবার। ফলে নিরাশ হল সরকার। আজ, শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে শুনানির সময় সলিস্যিটর জেনারেল জানান, সংবিধান দিবসের কর্মসূচিতে যোগ দিতে যেতে হবে। তাই পরবর্তী শুনানি হবে ২৯ নভেম্বর।
অক্টোবর মাসে সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালের কলকাতা বেঞ্চ থেকে মামলা নয়াদিল্লিতে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয় প্রিন্সিপাল বেঞ্চ। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আলাপন বন্দোপাধ্যায়। তখন হাইকোর্টে তিনি স্বস্তি পান। কেন দিল্লিতে মামলা সরানো হবে? প্রশ্ন তুলে ‘ক্যাট’–এর সিদ্ধান্ত খারিজ করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।
তখনই হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় কেন্দ্র। সুপ্রিম কোর্টে সলিসিটর জেনারেল বলেন, ‘কলকাতা হাইকোর্ট নিজের এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে এই মামলার নির্দেশ দিয়েছে।’ আজ সেই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আজ তা পিছিয়ে গেল। সোমবার এই মামলার শুনানি হওযার কথা। আর সেদিকেই তাকিয়ে সবাই।
উল্লেখ্য, ঘটনার সূত্রপাত ২৮ মে। ‘ইয়াস’ ঘূর্ণিঝড়ের প্রেক্ষিতে কলাইকুণ্ডায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একটি রিভিউ বৈঠক ডেকেছিলেন। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৎকলীন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের যোগ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনের জন্য ব্যস্ত থাকায় তিনি প্রধানমন্ত্রীর সভায় উপস্থিত হননি। এতেই চোটে যান প্রধানমন্ত্রী। আলাপনকে নয়াদিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়। তখন সেখানে উপস্থিত না হয়ে অবসর নেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।