NEW DELHI : আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের (এএমইউ) উপাচার্য হলেন নাঈমা খাতুন। বিশ্ববিদ্যালয়ের একশ চার বছরের ইতিহাসে এই প্রথমবার কোন মহিলা উপাচার্য পেল এএমইউ।
কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের তরফে বিশ্ববিদ্যালয়কে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়েছে,'ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্ম বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিদর্শক হিসাবে তাঁর ক্ষমতায়, আলিগড় মুসলিম কলেজে অধ্যাপক নাঈমা খাতুনকে পাঁচ বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ করেছে।'
২০২৩ সালের এপ্রিলে তার পূর্বসূরি তারিক মনসুরের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনও পূর্ণসময়ের উপাচার্য ছিলেন না।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে যে ভারতের নির্বাচন কমিশন সরকারকে আদর্শ আচরণবিধি (এমসিসি) বিচার করে থেকে এই নিয়োগের অনুমতি দিয়েছে। কমিশন শর্ত আরোপ করে জানিয়েছে, " এই নিয়োগ নিয়ে কোনও প্রচার হবে না এবং এর থেকে কোনও রাজনৈতিক ফায়দা তোলা যাবে না"।
আরও পড়ুন। ‘সিয়াচেন বীরত্ব ও সাহসের রাজধানী’, বেসক্যাম্পে গিয়ে জওয়ানদের বার্তা রাজনাথের
মন্ত্রকের চিঠির পরে, এএমইউ সোমবার সন্ধ্যায় একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে। সেই বিজ্ঞপ্তিতে নাইমা খাতুনকে আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসাবে ঘোষণা
খাতুনের ২০১৬ সাল থেকে এএমইউর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। উপাচার্যের পদের জন্য এর আগে ২০২৩ সালের নভেম্বরে এলাহাবাদ হাইকোর্টে মামলা হয়। সেই মামলায় অভিযোগ করা হয়, নাঈমার স্বামী মোহাম্মদ গুলরেজের (যিনি ওই কলেজেরই অধ্যাপক) নেতৃত্বাধীন একটি কমিটি তাঁর নাম তালিকাভুক্ত করেন। যিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। কিন্তু আবেদনটি খারিজ হয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে আবার উচ্চ আদালতে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল এবং তা বিচারাধীন রয়েছে। এরই মধ্যে নাঈমা খাতুনকে নিয়োগ করলেন রাষ্ট্রপতি।
আর পড়ুন। বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগ, ২৯ সপ্তাহে ১৪ বছরের নাবালিকাকে গর্ভপাতের অনুমতি SC-র
আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রী খাতুন ওড়িশায় পড়াশোনা করেন এবং এএমইউতে চলে যান। যেখানে প্রাক-বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রি শেষ করার পরে, তিনি যথাক্রমে ১৯৮১ এবং ১৯৮৩ সালে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর স্তরে মনোবিজ্ঞান অধ্যয়ন করেছিলেন। পরে তিনি ১৯৮৯ সালে মনোবিজ্ঞানে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।
তিনি ছয়টি বই লিখেছেন। সহ-লেখক হিসাবেও তাঁর বেশ কয়েকটি বই প্রকাশিত হয়েছে।