আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে নয়া বিতর্ক। অভিযোগ, ধর্ষণ ইস্যুতে এক অধ্যাপক পৌরাণিক প্রসঙ্গ উল্লেখ করে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন। এক প্রেজেন্টেশনের সময়ে তিনি এই মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ।
প্রেজেন্টেশনের স্লাইডের সেই ছবি (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তারপরেই বিশ্ববিদ্যালয় কমিটি ও মেডিসিন ফ্যাকাল্টি নড়েচড়ে বসে। অভিযুক্ত অধ্যাপককে শো কজের নোটিশ ধরানো হয়েছে। অধ্যাপকের বিরুদ্ধে পড়ুয়া কর্মচারী ও দেশবাসীর ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগ রয়েছে।
অধ্যাপকের নাম ডক্টর জিতেন্দ্র কুমার। তাঁর বিরুদ্ধে টুইটারে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন অনেকে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার ও কঠোর আইনি পদক্ষেপের দাবি তুলেছেন তাঁরা। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকেরাও তাঁর মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় কমিটি জিতেন্দ্র কুমারকে ২৪ ঘণ্টা সময় দিয়েছে। তার মধ্যেই শো-কজ নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এএমইউ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, 'ডিনের সুপারিশে বিশ্ববিদ্যালয় দুই সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। মেডিসিন অনুষদের অধ্যাপক রাকেশ ভার্গব এর তদন্ত করবেন। এই ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে, সেই ব্যবস্থা নেওয়ার হবে।'
ইতিমধ্যেই ডক্টর জিতেন্দ্র কুমার ক্ষমা চেয়েছেন। কারও ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করা তাঁর উদ্দেশ্য নয় বলে জানিয়েছেন। ক্ষমা প্রার্থনার চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ‘ধর্ষণ যে বহু যুগ ধরেই আমাদের সমাজের অংশ ছিল, সেটা ব্যাখ্যা করাই আমার মূল উদ্দেশ্য ছিল।’