১৬ জুন থেকে খুতলে চলেছে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার অধীনে থাকা সব স্মৃতিসৌধ, যাদুঘর। করোনা আবহে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল তাজমহল সহ দেশের সব স্মৃতিসৌধ এবং জাদুঘর। করোনার দ্বিতীয় ঢেউতে জর্জরিত দেশে দৈনিক সংক্রমণ বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৪ লক্ষ। সেখান থেকে বর্তমানে করোনার দৈনিক সংক্রমণ কমে দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষের নিচে। এই আবহে ফের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা এবং তত্ত্বাবধানে থাকা তাজমহল সহ দেশের একাধিক ঐতিহাসিক সৌধের দরজা খোলার ঘোষণা করা হল।
করোনা আবহে পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্র, দিল্লি সহ একাধিক জায়গায় লকডাউন জারি করা হয়েছিল। তবে করোনা সংক্রমণ কমতে ধীরে ধীরে ফের স্বাভাবিক গতিতে ফেরার চেষ্টা চলছে। চালু হয়েছে আনলক প্রক্রিয়া। এই পরিস্থিতিতে দিল্লিতে শুরু হয়েছে আনকল ৩.০। আজ থেকে দিল্লিতে সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দোকানপাট খোলা থাকবে। ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চলবে মেট্রো ও বাস। রেস্তোরাঁগুলিতে মোট আসনের ৫০ শতাংশ গ্রাহককে প্রবেশ করানো যাবে।
এদিকে গত ১১ জুন থেকেই পুণেতে দ্বিতীয় স্তরের আনলক শুরু হয়েছে। এছাড়া পালঘর জেলায় করোনা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটায় সেখানে এদিন থেকে দ্বিতীয় স্তরের আনলক শুরুর কথা ভাবা হচ্ছে। উদ্বব ঠাকরের সরকার জানিয়েছে, আপাতত লেভেল-২ আনলকে রেস্তোরাঁ, শপিংমল এবং সিনেমাহলগুলি ৫০ শতাংশ গ্রাহক পরিষেবা নিয়ে শুরু করা হবে।
এদিকে উত্তরপ্রদেশের ৭১টি জেলায় কোভিড বিধি শিথিল করা হয়েছে গত ৭ জুন থেকে। তবে লখনউ, গোরক্ষপুর, সাহারানপুর এবং মিরাটে কার্ফু জারি রয়েছে। বেনারস, মুজাফফরনগর, গৌতমবুদ্ধনগর এবং গাজিয়াবাদে সপ্তাহে ৫ দিন দোকান-বাজার খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে রাজ্যজুড়েই সপ্তাহে দু'দিন কার্ফু জারি থাকবে।