মাদক ব্যবহার নিয়ে বিতর্কের সময় লোকসভায় শাহ জানান, ভারতে যে রুট ধরে মাদক পাচার করা হয়, তা চিহ্নিত করে ফেলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। যা দেশের ৪৭২ টি জেলায় ছড়িয়ে আছে। সেইসঙ্গে মাদকের পরিবর্ত হিসেবে যে সামগ্রী ব্যবহার করা হয়, সেগুলিরও বড় অংশ নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আগামী দু'বছরে এমন পরিস্থিতি তৈরি হবে যে কেউ রেহাই পাবে না।
শাহ দাবি করেন, ২০১৪ সাল থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ৯৭,০০০ কোটি টাকা মূল্যের মাদক নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। যেখানে ২০০৬ সাল থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে ২৩,০০০ কোটি টাকার মাদক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। তিনি বলেন, 'সব রাজ্যে আমরা ড্রাগ নেটওয়ার্ক চিহ্নিত করেছি। যতই বড় অপরাধী হোক না কেন, আগামী দু'বছরের মধ্যে এমন পরিস্থিতি তৈরি হবে যে তারা জেলে যাবেই।'
সংসদের নিম্নকক্ষে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ বলেন, ‘মাদক একটি বড় সমস্যা। মাদকের অর্থ সন্ত্রাসে ব্যবহৃত হয়। এই সমস্যার মোকাবিলা করার তিনটি উপায় আছে - সহযোগিতা, সমন্বয় এবং সহায়তা। এই লড়াইয়ের ক্ষেত্রে এই বিষয়গুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটা (মাদক) কোনও একটি সরকার বা রাজনৈতিক দল বা সরকারি এজেন্সির কোনও লড়াই নয়। এটার (মাদক) বিরুদ্ধে সার্বিকভাবে সরকারের পদক্ষেপ হওয়া উচিত।’
গুজরাটের মুন্দ্রা বন্দরে মাদক নিয়ে শাহ
নিজের রাজ্য গুজরাটের মুন্দ্রা বন্দর থেকে যে ৩,০০০ কিলোগ্রাম মাদক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল, তা নিয়েও মুখ খোলেন শাহ। তিনি খোঁচা দেন, কোনও জায়গা থেকে মাদক বেশি বাজেয়াপ্ত হচ্ছে মানেই সেখানেই যে মাদক সবথেকে বেশি রমরমা, সেরকম কোনও বিষয় নেই। বরং গুজরাটে যে মাদক বাজেয়াপ্ত হয়েছে, তা থেকে মাদক-বিরোধী অভিযানে সরকার কতটা কাজ করছে, তা ফুটে উঠেছে।
শাহ বলেন, ‘মাদক বাজেয়াপ্ত হওয়ার অর্থ এটা নয় যে মাদকের সবথেকে বড় উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে গুজরাট। সেটা থেকে ফুটে ওঠে যে মাদক বাজেয়াপ্ত করার ক্ষেত্রে ওই রাজ্য সেরা কাজ করছে। যাত্রা করতে থাকা একজন জাতীয় স্তরের নেতা (রাহুল গান্ধী) বলেছেন যে ড্রাগ হাব হয়ে উঠেছে। তাহলে কি মাদক বাজেয়াপ্ত করা ভালো নয়?’ সঙ্গে তিনি বলেন, ‘(মাদক সংক্রান্ত বিষয়ে) রাজ্য এবং কেন্দ্র একসঙ্গে কাজ করছে। একটা গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় আছে এই লড়াই। এই বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি না করার আর্জি জানাচ্ছি।’