করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কারও মৃত্যু হলে ডেথ সার্টিফিকেটে বাধ্যতামূলক ভাইরাসের উল্লেখ করতে হবে। তাতে কোনওরকম গাফিলতি হলে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক-সহ দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নেওয়া হবে ব্যবস্থা। রবিবার সুপ্রিম কোর্টে একথা জানাল সুপ্রিম কোর্ট। তবে কয়েকটি ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, কো-মর্বিডিটি থাকলেও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কোনও ব্যক্তি মারা গেলে মৃত্যুর কারণ হিসেবে শংসাপত্রে করোনার উল্লেখ করতে হবে। শুধুমাত্র দুর্ঘটনাজনিত আঘাতের কারণ বা বিষক্রিয়ার মতো কারণে যদি মৃত্যু হয়, সেক্ষেত্রেই সেই নিয়মের ব্যতিক্রম হতে পারে। হলফনামা দাখিল করে কেন্দ্রের তরফে বলা হয়েছে, ‘করোনার কারণে যদি মৃত্যু হয়, তাহলে মৃত্যুর কারণ হিসেবে করোনা উল্লেখ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই নির্দেশ পালনে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক-সহ দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সম্প্রতি কেন্দ্রকে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, করোনায় যাঁদের মৃত্যু হয়েছিল, তাঁদের ডেথ সার্টিফিকেটে মৃত্যুর কারণ হিসেবে করোনার উল্লেখ থাকছে না। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতাকে উদ্দেশ করে বিচারপতি এম আর শাহ বলেছিলেন, ‘হাসপাতালে যে করোনাভাইরাস আক্রান্তদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের ডেথ সার্টিফিকেটে মৃত্যুর কারণ হিসেবে ফুসফুস বা হৃদপিণ্ডের সমস্যা-সহ বিভিন্ন কারণ উল্লেখ করা হচ্ছে।’
তারইমধ্যে বিভিন্ন রাজ্যে করোনায় প্রাণহানির প্রকৃত সংখ্যা ধামাচাপা দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠতে থাকে। সেই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের তরফে করোনায় মৃত্যু নিয়ে কড়া অবস্থান নেওয়া হয়েছে। শীর্ষ আদালতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক আরও জানিয়েছে যে করোনায় মৃতদের ক্ষেত্রে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি নিজস্ব অডিট করতে পারে। সেক্ষেত্রে অবশ্য বৃহদাকারে কেন্দ্রের নির্ধারিত মানদণ্ড মেনে চলতে হবে বলে জানানো হয়েছে।