জরুরি ভিত্তিতে কোভ্যাক্সিনের অনুমোদনের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে (হু) যাবতীয় নথি জমা দেওয়া হয়েছে। সোমবার এমনটাই জানাল ভারত বায়োটেক। হায়দরাবাদের সংস্থার আশা, শীঘ্রই অনুমোদন মিলবে।
বিশ্বের সর্বোচ্চ স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের নির্দেশিকা অনুযায়ী, এমার্জেন্সি ইউজ লিস্টিংয়ের (ইইউএল) মাধ্যমে নয়া বা লাইসেন্সবিহীন কোনও দ্রব্যকে অনুমোদন দেওয়া হয়। যে অনুমোদন পাওয়া গেলে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত জরুরি পরিস্থিতির সময় সেই দ্রব্য ব্যবহার করা যায়। ভারত বায়োটেকের চেয়ারম্যান এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর বলেছেন, 'জরুরি ভিত্তিতে কোভ্যাক্সিনের ছাড়পত্রের জন্য (ইইউএল) প্রয়োজনীয় যাবতীয় নথি ৯ জুলাইয়ের মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। পর্যালোচনার প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে। আমাদের আশা যে দ্রুত আমরা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ছাড়পত্র পেয়ে যাব।'
সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথন জানিয়েছিলেন, ইতিমধ্যে ছ'টি টিকাকে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আপাতত কোভ্যাক্সিনের বিষয়টি দেখা হচ্ছে। বিশ্বব্যাপী একটি ওয়েবমিনারে তিনি বলেছিলেন, ‘অনুমোদন পাওয়ার জন্য একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া মেনে চলতে হয়। সুরক্ষাজনিত তথ্য, সম্পূর্ণ ট্রায়ালের তথ্য পেশ করতে হয় সংস্থাগুলিকে। এমনকী অনুমোদন পাওয়ার জন্য উৎপাদনের গুণমান সংক্রান্ত তথ্যও দিতে হয়। ইতিমধ্যে ভারত বায়োটেক (কোভ্যাক্সিনের প্রস্তুতকারক) তথ্য জমা দেওয়া শুরু করেছে। ডসিয়ার খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এরপর আমাদের কমিটি ভারত বায়োটেকের করোনাভাইরাস টিকার পর্যালোচনা করবে। অনুমোদন মিলবে কিনা, তা আগামী চার থেকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
আপাতত বিশ্ব জনস্বাস্থ্য সংস্থাগুলির সুরক্ষার মাপকাঠিও পূরণ করেছে। এমনিতে ব্রাজিল, মেক্সিকো, ফিলিপিন্স, ইরান-সহ বিশ্বের ১৬ টি দেশে অনুমোদন পেয়েছে কোভ্যাক্সিন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ছাড়পত্র পেলে ভারত-সহ একাধিক দেশের কোভ্যাক্সিন গ্রহীতারা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারবেন।