করোনাভাইরাসের মোকাবিলার জন্য সম্মানিত করেছিল রাষ্ট্রসংঘ। সেই স্বাস্থমন্ত্রী কে কে শৈলজাকেই নয়া সরকারের মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দিল বামেরা। শুধু শৈলজা নন, গতবারের একজন মন্ত্রীকেও নয়া সরকারে জায়গা দেওয়া হয়নি। শুধুমাত্র ‘অধিনায়ক’ পিনারাই বিজয়ন মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে থাকছেন।
পুরনো দলের ‘খেলোয়াড়রা’ বাদ পড়লেও মন্ত্রিসভায় জায়গা পেয়েছেন বিজয়নের জামাই পি এ মহম্মদ রিয়াস। সিপিআইএমের সম্পাদক এ বিজয়রাঘবনের স্ত্রী আর বিন্দুও মন্ত্রিত্ব পাচ্ছেন। ২০ জন মন্ত্রীর মধ্যে সিপিআইএমের ১২ জন দায়িত্ব পাচ্ছেন। সিপিআইয়ের চারজন, কেরালা কংগ্রেসের (মনি) একজন এবং জনতা দলের (সেকুলার) ভাগ্যে একটি করে মন্ত্রিত্বের পদ শিকে ছিঁড়েছে। অন্যান্য যে চারটি ছোটো দল আছে, তাদের মধ্যে থেকে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে মন্ত্রী করা হবে। প্রথম ৩০ মাসে দু'জন মন্ত্রী হবেন এবং পরবর্তী ৩০ মাসে অপর দু'জন মন্ত্রিত্ব পাবেন।
তারইমধ্যে শৈলজা বাদ পড়ায় সবথেকে বেশি ভ্রূ কুঁচকেছে রাজনৈতিক মহলের। সিপিআইএমের সম্পাদকমণ্ডলীর একাংশ শৈলজাকে রেখে দেওয়ার পক্ষে ছিলেন। কিন্তু একাংশের মতে, একেবারে নয়া দল পুরনো ‘খেলোয়াড়দের’ প্রয়োজন নেই। সূত্রের খবর, শৈলজাকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্তে একেবারেই অখুশি হয়েছেন বৃন্দা কারাট-সহ দলের একাধিক শীর্ষ বাম নেতা। রাজনৈতিক মহলের মতে, যেভাবে দলকে ছাপিয়ে শৈলজা জনপ্রিয় হয়েছেন, তাতে মন্ত্রিসভায় জায়গা না দেওয়ার জন্য আগামিদিনে বাম নেতৃত্বকে প্রচুর ব্যাখ্যা দিতে হবে। রাজনৈতিক বিশ্লেষক এন এম পিয়ারসনের বক্তব্য, ‘এটা অত্যন্ত খারাপ খবর। তরুণ রক্তদের জায়গা দেওয়ার অজুহাতে জনপ্রিয় মুখেদের উপর কোপ মারা হচ্ছে। বামেরা যে ক্ষমতায় ফিরেছেন, তার অন্যতম কারণ হচ্ছে কার্যকরীভাবে মহামারী করতে পারা। যদি পুরো দল পালটে যায়, তাহলে অধিনায়কের ক্ষেত্রেও তা প্রয়োজ্য হয়।’