শহরাঞ্চল এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় বাড়ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হার। সেই পরিস্থিতিতে করোনার সংক্রমণ রুখতে আগামিকাল (বৃহস্পতিবার) থেকে শহরাঞ্চল এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় (শহরাঞ্চল এবং পুরসভা বা পুরনিগমের পার্শ্ববর্তী পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে এলাকায়) আংশিক লকডাউনের ঘোষণা করল অসম সরকার।
বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে অসমের মুখ্যসচিব জিষ্ণু বড়ুয়া বলেন, ‘সম্পূর্ণ লকডাউন একটা বিকল্প ছিল। কিন্তু আমরা ধাপে ধাপে এগোচ্ছি। আগামী দু'তিনদিনের মধ্যে সেই বিধিনিষেধের সুফল দেখা যাবে।’ যে বিধিনিষেধগুলি আগামিকাল থেকে কার্যকর হবে।
একনজরে দেখে নিন কী কী বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে এবং কোন কোন ক্ষেত্রে ছাড় আছে?
১) রোজ দুপুর একটার সময় যাবতীয় দোকান এবং বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে হবে।
২) আগামী ১৫ দিন সমস্ত সাপ্তাহিক বাজার বা হাট বন্ধ থাকবে।
৩) দুপুর একটা পর্যন্ত রেস্তোরাঁ, ধাবায় বসে খাওয়া যাবে। তারপর শুধুমাত্র হোম ডেলিভারিতে ছাড় দেওয়া হবে।
৪) করোনাবিধি মেনে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের ডেলিভারি দিতে পারবে ই-কমার্স সংস্থাগুলি।
৫) কোনওরকম বিধিনিষেধ ছাড়াই ওষুধ দোকান, পশু চিকিৎসালয়, হাসপাতাল খোলা রাখা যাবে।
৬) আগামী ১৫ দিন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়-সহ যাবতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হবে।
৭) আগামী ১৫ দিনের জন্য সব সরকারি এবং বেসরকারি বন্ধ রাখতে হবে।
৮) শেষকৃত্যে সর্বাধিক ১০ জন উপস্থিত থাকতে পারবেন।
৯) বিয়েতে সর্বাধিক উপস্থিত থাকতে পারবেন। বিয়ের আগে বা পরে কোনও অনুষ্ঠান করা যাবে না।
১০) আগামী ১৫ দিনের জন্য সমস্ত ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। সেই প্রতিষ্ঠানের প্রধান ন্যূনতম ধর্মীয় আচার পালন করতে পারবেন।
১১) সর্বাধিক ৩০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন চলতে পারবে।
১২) এক চালক এবং দু'জন যাত্রী নিয়ে অটো এবং রিকশা চলতে পারবে।
১৩) জোড়-বিজোড় নীতি মেনে ভোর পাঁচটা থেকে দুপুর দুটো পর্যন্ত সরকারি গাড়ি ছাড়া সব গাড়ি চলতে পারবে। তবে চিকিৎসার কাজে ব্যবহৃত ব্যক্তিগত গাড়িতে ছাড় দেওয়া হবে।
১৪) দুপুর দুটো থেকে ভোর পাঁচটা থেকে কেউ চলাচল করতে পারবেন না। যাঁরা জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যু্ক্ত, তাঁদের ছাড় দিতে হবে।