আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশে স্কুলে যাচ্ছে সব স্কুল। এমনটাই জানালেন শিক্ষামন্ত্রী দীপুমণি। সেইসঙ্গে তিনি জানিয়েছে, আগে যেমন ঘোষণা করা হয়েছিল, তেমনই এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া হবে।
শুক্রবার চাঁদপুর সদর উপজেলার মহামায়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নয়া ভবনের উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী। তারপর তিনি জানান, ১২ সেপ্টেম্বর থেকে দেশের সমস্ত প্রাথমিক, মাধ্যমিক, এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল খুলে যাবে। স্কুল-কলেজ খোলার জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
করোনাভাইরাসের জেরে বাংলাদেশে গত বছরের মার্চ থেকে সমস্ত স্কুল-কলেজ বন্ধ আছে। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় একাধিকবার বাড়ানো হয়েছে ছুটির মেয়াদ। তারইমধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা খুব তাড়াতাড়ি স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি৷ সেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে৷ শিক্ষকদের টিকা দেওয়া হয়েছে৷ শিক্ষকদের সঙ্গে স্কুলে কর্মরত যাঁরা, তাদের পরিবার-সহ যাতে টিকা দেওয়া হয়, সে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে৷’ প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কতগুলি নির্দেশিকা আছে৷ সেই নির্দেশিকা মেনেই স্কুলের ছেলেমেয়েদেরও টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা নিচ্ছি৷ ফাইজারের কিছু টিকা পৌঁছেছে, আরেও পৌঁছাবে৷ মডার্নার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি৷ অন্যান্য টিকাও আসছে৷ ইতিমধ্যে টাকাও পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ প্রায় ছয় কোটি টিকার জন্য টাকা দিয়ে দিয়েছি৷’
তবে টিকা দেওয়ার পরও যে করোনা সংক্রমণ হতে পারে, সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে সবাইকে সাবধানে থাকার অনুরোধ করে হাসিনা বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে যা যা করা দরকার, করে যাচ্ছি৷ হ্যাঁ জানি, অনেকের বক্তব্য, অনেক কিছুই বলেন৷ কিন্তু বাস্তব চিত্রটা দেখেন, যদি অন্য দেশের সঙ্গে তুলনা করেন, আমাদের এই ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা, সেই জায়গায় করোনা নিয়ন্ত্রণে আমরা যেভাবে ব্যবস্থা নিয়েছি, অনেক উন্নত দেশও কিন্তু নিতে পারেনি, এটা হল বাস্তবতা৷’