নতুন করে NPR-এর বিজ্ঞপ্তি জারি করল পশ্চিমবঙ্গ ও কেরল ছাড়া দেশের সমস্ত রাজ্য। এর মধ্যে রয়েছে কংগ্রেস-সহ অন্যান্য বিরোধী দলের শাসিত রাজ্যগুলিও। বুধবার কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রে এই খবর মিলেছে। ওদিকে সোমবার দিল্লিতে বিরোধী দলগুলির বৈঠকের পর কী ভাবে তারা NPR-এ সম্মতি দিল তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
বুধবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রের জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ ও কেরল বাদ দিয়ে বাকি সমস্ত রাজ্য নতুন করে NPR-এর বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। শুধুমাত্র ওই দুই রাজ্য NPR প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার আবেদন জানিয়েছে।
এই বিষয়ে লোকসভায় কংগ্রেসের পরিষদীয় দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেন, ‘কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে বোঝাপড়ার ভিত্তিতেই দেশ চলে। NPR করায় কোনও সমস্যা নেই। ২০১০ সালে NPR চালু করেছিল কংগ্রেসই। তখন তো কোনও সমস্যা হয়নি। তাহলে এখন সমস্যা কেন হচ্ছে সেটা খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
অধীরবাবু বলেন, ‘এত বড় দেশ যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর ওপর চলে। সেই কাঠামো মেনে চলার দায় সমস্ত সরকারের রয়েছে। তবে কোন রাজ্যে NPR-এর কী প্রাসঙ্গিকতা তা খতিয়ে দেখে সোনিয়া গান্ধী চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে বলেছেন।’
তৃণমূলকে আক্রমণ করে অধীরবাবু বলেন, ‘CAA নিয়ে কংগ্রেস আন্দোলনে নামার পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের NPR করানো উচিত নয় বলে মনে হয়েছে। কিন্তু সবার আগে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিলেন উনিই।’
বলে রাখি, গত ২৪ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় NPR আপডেট করার প্রস্তাব পাশ হয়। সেজন্য খরচ ধরা হয় ৩,৫০০ কোটি টাকা।