নাবালিকাকে ধর্ষণের দায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল অভিযুক্ত। এখন সেই নির্যাতিতা প্রাপ্তবয়স্ক। নির্যাতিতাই ধর্ষককে বিয়ে করতে ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন। নির্যাতিতার অনুভূতির সত্ত্বেও পকসোয় দোষী সাব্যস্তের জামিনের আবেদন খারিজ করল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের এই সংক্রান্ত একটি নির্দেশের উপর ভিত্তি করে আসামির জামিন খারিজ করে দিয়েছে আদালত।
এই ধরনের আরেকটি মামলায় সর্বোচ্চ আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, নাবালিকা ধর্ষণের মামলায় নির্যাতিতা ও অভিযুক্তের মধ্যে কোনও ধরনের বোঝাপড়া করা উচিত না। এই ধরনের কোনও সমঝোতার ব্যাপারে বিবেচনা করা থেকে বিরত থাকতে হবে আদালতকে। কারণ, এই মামলাগুলিতে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পকসোর মতো জামিন অযোগ্য ধারা যুক্ত থাকে। যার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত নির্দেশও দেয়। শুধু তাই নয়, সিআরপিসি আইনে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে নির্যাতিতার গোপন জবানবন্দিও নথিভূক্ত করা থাকে। সেকারণে অভিযুক্তের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অপর্ণা ভাট-এর সেই নির্দেশের উপর নির্ভর করে পকসোয় দোষীর জামিন খারিজ করে দেয় এলাহাবাদ হাইকোর্ট।
মামলার নির্দেশ দিতে গিয়ে বিচারপতি বিবেক আগরওয়ালের সিঙ্গল বেঞ্চ নিজের পর্যবেক্ষণে জানায়, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুয়ায়ী নির্যাতিতা ও অভিযুক্তের মধ্যে এই ধরনের সমঝোতার বিষয় আদালত গ্রহণ করবে না।
অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী শাকিল আহমেদ আজমী আদালতকে জানান যে, তাঁর মক্কেল নিজেই নির্যাতিতাকে বিয়ে করতে রাজি আছেন। আর যেহেতু নির্যাতিতা এখন প্রাপ্তবয়স্ক তাই তিনিও অভিযুক্তকে বিয়ে করতে ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন। সেকারণে অভিযুক্তের জামিন মঞ্জুর করা হোক।
তখনই আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দেয় যে, এই জামিনের আবেদনের বিষয় বিবেচনা করার সময় আদালত এই জাতীয় সমঝোতা গ্রহণ করতে পারে না। তারপরই অভিযুক্তের জামিন খারিজ করে দেয় আদালত।