আইআইটি কানপুরের এক ছাত্রীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল অ্যাসিসট্যান্ট পুলিশ কমিশনারের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মামলা দায়ের হওয়ার পরেই এসিপিকে পদ থেকে সরিয়ে লখনউ পুলিশ সদর দফতরে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত এসিপির নাম মহম্মদ মহসিন খান। তাঁর বিরুদ্ধে বিএনএসের ৬৯ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মাঝরাতে কিশোরী বান্ধবীর বাড়িতে ঢুকে ধর্ষণ করার অভিযোগ, নদিয়ায় অভিযুক্ত গ্রেফতার
জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রী ইনস্টিটিউটে সাইবার ক্রাইম এবং ক্রিমিনোলজি বিভাগে পড়াশোনা করতেন। এসিপিও পিএইচডি ডিগ্রির জন্য চলতি বছরের জুলাই মাসে স্কলার হিসেবে ভর্তি হয়েছিলেন। সেই সূত্রেই ছাত্রীর সঙ্গে পরিচয় হয় এসিপির। এরপর তাদের মধ্যে ক্রমেই ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। অভিযোগ, পরে এসিপি তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বেশ কয়েকবার সহবাস করেছেন। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত তিনি ছাত্রীকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন। ঘটনায় বৃহস্পতিবার ছাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়। ডিসিপি অঙ্কিতা শর্মা বলেছেন, শহরের কল্যাণপুর থানায় এসিপির বিরুদ্ধে ৬৪ (ধর্ষণ) সহ বিভিন্ন বিএনএস ধারায় একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
আইআইটি কানপুরের ডিরেক্টর মণীন্দ্র আগরওয়াল বলেছেন, ‘প্রতিষ্ঠানটি এই কঠিন সময়ে ছাত্রীকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সিটি পুলিশকে ধন্যবাদ জানাই।’জানা যাচ্ছে, অভিযুক্ত উত্তরপ্রদেশ পুলিশ সার্ভিসের ২০১৩ ব্যাচের অফিসার। এই বছরের জুলাই মাসে আইআইটি কানপুরে পিএইচডি স্কলার হিসাবে ভর্তি হয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার এসিপিকে পোস্টিং থেকে সরিয়ে পুলিশ সদর দফতর লখনউতে বদলি করা হয়েছে।
কানপুরের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (আইন ও শৃঙ্খলা) হরিশ চন্দর জানিয়েছেন, মহিলাটি প্রাথমিকভাবে আইআইটি-কানপুর প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। প্রশাসন, অভ্যন্তরীণ তদন্ত করার পর জানতে পারে অভিযোগের সত্যতা রয়েছে। এরপর মহিলা বৃহস্পতিবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে ওই মহিলা বলেন, ইনস্টিটিউটে এসিপির সঙ্গে তাঁর দেখা হয়। তবে এসিপি যে বিবাহিত সে কথা তিনি গোপন রেখেছিলেন। পরে যখন ছাত্রী তাঁর বিয়ের কথা জানতে পারেন এবং আপত্তি জানান, তখন এসিপি তাঁর স্ত্রীকে ডিভোর্স দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে কমিশনার এসিপির বিরুদ্ধে এফআইআর নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেন। ডিজিপি প্রশান্ত কুমারের কাছেও রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনার তদন্তে তিন সদস্যের একটি সিট গঠন করা হয়েছে।