একটি মাদ্রাসার ভিতরে নাবালক পড়ুয়াকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ উঠল যুবকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় যুবকের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতন সহ পকসো আইনের একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের ভিওয়ান্ডিতে অবস্থিত একটি মাদ্রাসায়। নির্যাতিত নাবালক এবং অভিযুক্ত যুবক দুজনেই ওই মাদ্রাসার পড়ুয়া। এমন ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক আলোড়ন পড়েছে এলাকায়। অভিযুক্তের শাস্তির দাবি জানিয়েছে নাবালকের পরিবার। এই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে শান্তি নগর থানার পুলিশ। যদিও অভিযুক্ত যুবক এখনও অধরা।
আরও পড়ুন: আইসক্রিমের লোভ দেখিয়ে ৩ বছরের শিশুর সঙ্গে যা করল যুবক, জানলে শিউরে উঠবেন
জানা গিয়েছে, এই ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৪ মে। কিন্তু, বিষয়টি সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে। অভিযোগ, যৌন নির্যাতনের পরেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিল নাবালক। তখন সে বাড়ি ফিরে যায়। এরপর সুস্থ হতেই তাকে মাদ্রাসায় ফিরে যেতে বলেন তার মা। কিন্তু, তাতে আপত্তি জানায় নাবালক। কোনওভাবেই সে মাদ্রাসায় ফিরতে চাইছিল না। তখন কেন সে মাদ্রাসা ফিরতে চাইছে না? তার কারণ নাবালক ছেলের কাছে জানতে চান মা। তার উত্তরে নাবালক যৌন নির্যাতনের বিষয়টি মাকে জানায়। তা জানতে পেরেই হতবাক হওয়ার পাশাপাশি ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন নাবালকের মা সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। নাবালকের মা অবশেষে বুধবার শান্তিনগর থানায় পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন।
এই ঘটনায় অভিযুক্ত যুবকের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। শান্তিনগর থানার সিনিয়ার ইন্সপেক্টর বিনায়ক গায়কওয়াদ জানান, অভিযুক্ত যুবকের বাড়ি বিহারে। ঘটনার পর সে নিজের বাড়িতে চলে যায়। তার খোঁজে তল্লাশি শুরু করা হয়েছে। পুলিশ অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারায় অস্বাভাবিক যৌন অপরাধ, যৌন নির্যাতন এবং পকস আইনে মামলা রুজু করেছে।
প্রসঙ্গত, দুমাস আগে এই ধরনের একটি ঘটনা ঘটেছিল মহারাষ্ট্রে। দুই ব্যক্তি ১২ বছর বয়সি এক না প্রথমে অপহরণ করে। এরপর তাকে যৌন নির্যাতনের চেষ্টা করে। কিন্তু, বাধা দেওয়ায় ওই নাবালককে খুন করেছিল অভিযুক্তরা। ঘটনাটি ঘটেছিল নবি মুম্বইয়ে। জানা যায়, অভিযুক্ত দুজনই ছিল রাজমিস্ত্রি। তারা দুই ভাই। পরে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। আর এবার মাদ্রাসার ভিতরে নাবালককে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ সামনে এল।